বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাগেরহাটের শরণখোলায় এক নারীকে নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মো. শাহ আলম বিশ্বাস (৫০) নামের এক ব্যাক্তি প্রান হারিয়েছেন। ওই নারীর বর্তমান ও সাবেক স্বামীর মধ্যে সংঘর্ষে ঘটনার ১০দিনের মাথায় গত শনিবার রাতে ঢাকা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শাহ আলম। দ্বিতীয় স্বামী আ. রহমান হাওলাদার (৪৮) চিকিৎসাধীন রয়েছেন খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সোমবার সকালে শাহ আলমের লাশ তার নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়েছে। এঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, প্রায় ১০/১২ বছর আগে উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের পশ্চিম কদমতলা গ্রামের আব্দুর রহমান বিশ্বাসের ছেলে শাহ আলমের সঙ্গে বিয়ে হয় পশ্চিম খাদা গ্রামের মানিক হাওলাদারের মেয়ে নূপুর বেগমের (৩৫)। তাদের সংসারে তিনটি সন্তান রয়েছে। কিন্তু তাদের দাম্পত্য কলহের কারণে শাহ আলমের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে দ্বিতীয় বিয়ে করে নূপুর বেগম। এনিয়ে সাবেক ও বর্তমান স্বামীর মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এর জেরে গত ২২জুলাই রাত ১২টার দিকে প্রথম স্বামী শাহ আলম বিশ্বাস চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে দ্বিতীয় স্বামী আ. রহমানকে। এসময় রহমানের আত্মীয়-স্বজনরা ছুঁটে এসে শাহ আলমকেও আটকে বেদম মারধর করে।
মারধরের ঘটনায় বর্তমান স্বামী আ. রহমান রক্তাক্ত জখম হওয়ার কারনে সাবেক স্বামী শাহ আলমকে মারধরের বিষয়টি চাপা পড়ে যায়। যার কারণে ভীতসন্ত্রস্ত স্বজনরা শাহ আলমকে ওই রাতে গোপনে শরণখোলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত খুলনা মেডিক্যালে কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরবর্তীতে খুমেকে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয় শাহ আলমকে। ঘটনার ১০দিনের মাথায় গত শনিবার ঈদের দিন রাত পৌনে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসকে আব্দুল্লাহ আল সাইদ জানান, শাহ আলমের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। এর আগে মারামারির ঘটনায় আ. রহমানের পক্ষে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।