Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি বাবুর ইন্তেকাল

নয়াপল্টনে বিএনপির শেষ শ্রদ্ধা, লক্ষীপুরে দাফন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু। গতকাল মঙ্গলবার ভোর চারটার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৫১ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল বলেন, বাবু ভাই ৪টার দিকে অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি ফুসফুসের রোগে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। সোমবার প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট হলে তাকে প্রথমে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাত দেড়টায় অ্যাপোলো হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি গোলাম সরোয়ার জানান, সকালে নয়াপল্টনে এবং বিকেলে লক্ষীপুরের রামগতিতে বাদ আসর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে শফিউল বারী বাবুকে দাফন করা হয়েছে। দাফনের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন- স্বেচ্ছাসেবক দলের গোলাম সরোয়ার, আবদুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ ও ইয়াছিন আলী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করা মরহুম শফিউল বারী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। তার মৃত্যুতে স্বেচ্ছাসেবক দল সারাদেশের জেলা, মহানগর, থানা, উপজেলা ও পৌরসভায় মঙ্গলবার খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিলের কর্মসূচি ঘোষণা করে।
এদিকে শফিউল বারী বাবুর আকস্মিক মৃত্যুতে মরহুমের পরিবার, স্বজন ও দলের সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দলীয় নেতাকর্মীরা শোকে মুহ্যমান। মৃত্যুর খবর শোনার পরপরই নেতাকর্মীরা অ্যাপোলো হাসপাতালে ভীড় করতে থাকেন। তারা গতকাল তাদের প্রিয় নেতাকে শেষবারের মতো বিদায় জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
সকাল ১০টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে শফিউল বারী বাবুর কফিন আনা হলে শেষ শ্রদ্ধা জানান বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দল সহ বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতৃবৃন্দ তার কফিনে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন। এরআগে তার কফিন বিএনপির পতাকা দিয়ে ঢেকে দেন বিএনপি মহাসচিব। দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রথম নামাজে জানাজায় অংশ নেন বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
জানাজার আগে মির্জা ফখরুল আবেগাপ্লুত কন্ঠে বলেন, আজকে শফিউল বারী বাবুর জানাজায় উপস্থিত হতে হবে এটা আমরা কল্পনাও করিনি। বাবু শুধু স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন না, তিনি বিএনপির একটা প্রাণ ছিলো। অসংখ্য নেতাকর্মী সারাদেশে তার হাতে তৈরি হয়েছে এবং বিএনপির অঙ্গসংগঠনের মধ্যে এই ধরনের ত্যাগী, মেধাবী, বুদ্ধিমান, লেখাপড়া জানা নিবেদিত প্রাণ নেতা খুব কম আছে। বাবুকে হারিয়ে আমরা আমাদের একটা অমূল্য সম্পদকে হারালাম। বিএনপি, শহীদ জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের এই সৈনিক কখনো পেছনে ঘুরে তাকায়নি। আন্দোলনে, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে তার ভূমিকার কোনো তুলনা হয় না। আমি তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি, আল্লাহ তাআলা যেন তাকে বেহেস্ত নসিব করেন। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল ও মরহুমের বড় ভাই সাহেদুল বারীও বক্তব্য রাখতে গিয়ে ডুকরে ডুকরে কান্না করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ