Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চট্টগ্রামে জমছে কোরাবানি পশুর হাট

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

চট্টগ্রামের কোরবানির পশুর হাটে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাকে ট্রাকে আসছে গরু। তিন পার্বত্য জেলাসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকেও আসছে গরু, মহিষ। এই অঞ্চলের বিভিন্ন খামারে পালিত গরুও আসছে হাটে। তবে হাটে এখনও ক্রেতা কম। ক্রেতা ও ইজারাদাররা বলছেন, ধীরে ধীরে জমে উঠছে বেচা কেনা। নগরীর বাসিন্দারা শেষ সময়েই কোরবানির পশু কিনেন। এবারও শেষ দিকে জমবে পশুর হাট এমন প্রত্যাশা বিক্রেতা ও ইজারাদারদের।

তবে যাদের রাখার ব্যবস্থা আছে তারা পছন্দের পশুটি আগে ভাগেই কিনে নিচ্ছেন। গ্রামের বাজারেও জমজমাট হয়ে উঠেছে কেনাবেচা। বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের খামারগুলোতেও বিক্রি চলছে। অনেকে হাটের ঝামেলা এড়াতে সরাসরি খামারিদের কাছ থেকে গরু কিনে আনছেন। বাজারে ক্রেতাদের নজর কাড়ছেন খামারে সযত্মে লালিত-পালিত বড় গরু। তবে মাঝারি এবং ছোট গরুর চাহিদা বেশি। মহানগরী ও জেলায় স্থায়ী অস্থায়ী মিলে ছোট বড় ২৩২টি পশুর হাট বসেছে।

নগরীর দুটি স্থায়ী পশুর হাটসহ সবকটি হাটে বিপুল সংখ্যক, গরু মহিষ উঠছে। বৃহত্তর রাজশাহী, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, রংপুর, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও খামারি ও বেপারিরা গরু নিয়ে আসছেন পশুর হাটে। হাটে এখন ঠাঁই নেই অবস্থা। রাতে দিনে ট্রাকে ট্রাকে গরু আসছে। ইজারাদাররা বলছেন, আরও কয়েকদিন গরু আসা অব্যাহত থাকবে। এবার বৃহত্তর চট্টগ্রামসহ সারা দেশেই পর্যাপ্ত গরু রয়েছে। বাজারেও গরুর সরবরাহ প্রচুর। করোনার কারণে গত কয়েক মাস সামাজিক অনুষ্ঠান বিশেষ করে বিয়ে শাদি, মেজবান বন্ধ থাকায় গরু বিক্রি তেমন হয়নি। আবার ভালো দাম পাওয়ার আশায় কৃষক ও খামারিরাও ব্যাপকহারে গরু লালন পালন করেছেন।

প্রাণি সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, গত কয়েক বছর ভারতীয় গরু আসা বন্ধ হওয়ায় অনেকে খামারে আগ্রহী হয়েছেন। বৃহত্তর চট্টগ্রামে তরুণ এবং শিক্ষিত যুবকেরা অনেক খামার গড়ে তুলেছেন। এসব খামারে অনেক গরু রয়েছে। ফলে বাজারে গরুর সরবরাহও বেড়েছে। এখন বাজারে কিছুটা দাম বেশি হলেও আস্তে আস্তে কমে আসবে। তবে বেপারি এবং খামারিরাও ভাল দাম পাবেন। প্রাণি সম্পদ বিভাগের হিসাবে এবার চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ সাত লাখ গরু ছাগল কোরবানি হবে। চট্টগ্রামে কৃষক ও খামারিদের কাছে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ গবাদি পশু রয়েছে। নগরীর দেওয়ান হাটের পোস্তার পাড়ের একমাত্র ছাগলের হাটেও জমজমাট কেনা-বেচা চলছে।
এদিকে, পশুর হাটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে নানা উদ্যোগ নেয়া হলেও মানুষের ভিড় জটলায় তা ব্যাহত হচ্ছে। ইজারাদারের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবকরা বাজারে আগতদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক দিচ্ছেন। এরপরও অনেকে মাস্ক ছাড়াই বাজারে ঘুরছেন। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা বেপারি ও খামারিদের থাকা খাওয়া নিয়েও নানা সমস্যা রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্টগ্রাম

৩০ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ