মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উইগুরে মুসলিমদের ওপর দমনপীড়ন চালিয়ে মানবাধিকারের ‘গুরুতর’ লঙ্ঘন করছে চীন, এমন অভিযোগ করেছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাবের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।
ডমিনিক রাব চীনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলার পাশাপাশি উইগুরদের নির্যাতনে যারা জড়িত তাদের নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, চীনের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে যুক্তরাজ্য তার মিত্রদের সঙ্গে কাজ করবে।
যদিও চীন তাদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। যুক্তরাজ্যে চীনের রাষ্ট্রদূত লিও শিয়াওমিং বন্দিশিবিরের বিষয়টিকে ‘ভুয়া’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, উইগুররা চীনের অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সমান সুযোগ লাভ করছে। শিনজিয়াংয়ে কোনো বন্দিশিবির নেই। চীনের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ করা হয়, যার অধিকাংশই মিথ্যা।
ধারণা করা হয়, অন্তত ১০ লাখের মতো উইগুর মুসলিমকে বন্দিশিবিরে আটকে রেখেছে চীন। যাকে দেশটি ‘রি-অ্যাডুকেশন ক্যাম্প’ হিসেবে অভিহিত করে থাকে। এদিকে সম্প্রতি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তারা উইগুরের নারীদের বন্ধ্যা করে দিচ্ছে বা যৌনাঙ্গে জন্মনিরোধক ডিভাইস স্থাপন করছে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা পরিষ্কার যে, চীনে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চীনের শিনজিয়াংয়ের উইগুর অধ্যুষিত দুটি অঞ্চলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ৮০ শতাংশ কমে গেছে। যদিও বিষয়টি স্বীকার করতে নারাজ যুক্তরাজ্যে নিয়োজিত চীনের রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, ৪০ বছর আগে উইগুরের জনসংখ্যা ছিল ৪০ থেকে ৫০ লাখ। বর্তমানে বৃদ্ধি পেয়ে জনসংখ্যা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ (১১ মিলিয়ন)।‘মানুষ বলে, আমরা জাতিগত নিধন চালাচ্ছি, অথচ উইগুরদের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে’, যোগ করেন তিনি।
ক্যাম্পে জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণ বা যৌনাঙ্গে জন্মনিরোধক ডিভাইস স্থাপনের মতো ঘটনা সত্যি দুঃখজনক হিসেবে অভিহিত করেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা চীনের সঙ্গে একটি ইতিবাচক সম্পর্ক চাই। তবে সম্পর্ক বাজায় রাখার ক্ষেত্রে চীনের আচরণ সন্তোষজনক নয়।
এদিকে উইগুরদের ওপর নির্যাতনে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জোরালো হচ্ছে যুক্তরাজ্যে। ইতোমধ্যে ১ লাখের বেশি লোক একটি পিটিশনে সই করেছেন। অর্থাৎ বিষয়টি নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে আলোচনার জন্য যথেষ্ট সমর্থন ইতোমধ্য জোগাড় হয়ে গেছে।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, যদি যুক্তরাজ্য চীনের কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তবে চীনও বসে থাকবে না। চীন দ্রুত এমন পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া জানাবে।
জাতিগত নিধনের অভিযোগকে ভিত্তিহীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, উইগুর মুসলিমরা অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান উপভোগ করছেন। চীনা রাষ্ট্রদূতের দাবি, ‘উইগুরে তথাকথিত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জোরপূর্বক কোনো বন্ধ্যাকরণ করা হচ্ছে না। সরকার এ ধরনের কাজের ঘোর বিরোধী’, যোগ করে তিনি। সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।