Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশের কাঁঠাল

প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বাংলা নাম কাঁঠাল। কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। কাঁঠাল দেশের সর্বত্র কম-বেশি পাওয়া যায়। কাঁঠাল অত্যন্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ, কিন্তু সবাই এ ফল খেয়ে হজম করতে পারে না। এই ফল কাঁচা রান্না করেও খাওয়া যায়। কাঁঠালকে এঁচোড় বলে। এ ফলের শুধু ভেতরের কোষ বা রোয়াগুলো খাদ্য। বাকিটা সবই ফেলে দেয়া হয়। অন্যান্য ফল যেমন ফুল থেকে হয়, কাঁঠালের ফুল হয় না। সরাসরি গাছের কা- ও শাখা-প্রশাখা থেকে ফল বের হয়। ধীরে ধীরে ওই ফল বড় হয় এবং পাকে। জ্যৈষ্ঠ ও আষাঢ় মাসে পাকা কাঁঠাল পাওয়া যায়। কাঁঠালে প্রচুর শর্করা, আমিষ ও ক্যারোটিন রয়েছে। চলুন তাহলে জেনে নিই কাঁঠালের কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে। পুষ্টি তালিকা : প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা কাঁঠালে রয়েছে : জলীয় অংশ ৮৮.০, ক্যালসিয়াম ২০ মি., মোট খনিজ ১.১, লৌহ ০.৫ মি., আঁশ ০.২, ক্যারোটিন (মাইক্রোগ্রাম) ৪৭০০, খাদ্যশক্তি (কিলোক্যালরি) ৪৮, ভিটামিন বি-১ ০.১১, আমিষ ১.৮, ভিটামিন ০.১৫ মি., চর্বি, ০.১, ভিটামিন-সি ২১ মি., শর্করা ৯.৯। ঔষধি ব্যবহার : * দাঁদ-একজিমা বা চুলকানি রোগে কাঁঠালের কচি পাতা থেতলিয়ে ২ কাপ পানি দিয়ে ভালোভাবে সেদ্ধ করে সকাল-বিকাল খেলে এবং ক্ষতস্থান ধুলে নিরাময় হয়। * কাঁঠালের শিকড় কোমড়ে বাঁধলে একশিরা আরাম হয়। * পাতার রস শির গুলনাশক এবং সাপের বিষের প্রতিষেধক। * ক্লান্তি ও দৌর্বল্যে কাঁঠালের রস উপকারী। * কাঁঠালের তরকারিকে এঁচোড় খেলে খাওয়ার রুচি বাড়ে। * পাকা কাঁঠালের বীজ পুড়িয়ে বা তরকারি করে খেলে পেটের গ-গোল সেরে যায়। * যাদের আমাশা বা পাতলা পায়খানার সমস্যা তারা বীজ পুড়িয়ে খেলে উপকার পাবেন। * খুব ক্লান্ত লাগলে দুই চার কোষ কাঁঠাল খেলে ক্লান্তি দূর হয়। কাঁঠাল হৃৎপি-ের দুর্বলতা দূর করে : হৃৎপি- দুর্বল হয়ে পড়লে হঠাৎ বুক ধরফরানি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কয়েক টুকরো কাঁঠালের কোষ বেঁটে সেই রস কয়েক ফোঁটা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে বুক ধরফরানি কমে যায়। এঁচোড় কিন্তু গুরুপাক, সর্দিতে কাঁঠালের তরকারি খেলে ভালো, কিন্তু বেশি খাওয়া ভালো নয়। নিয়মিত এঁচোড় খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। পাকা কাঁঠাল সপ্তাহে দুই তিনদিন চার-পাঁচ কোয়া করে বিকেলের টিফিনে খেলে কোনো ক্ষতি নেই। সর্দি থাকলে বা সর্দির ভাব থাকলে না খাওয়াই উচিত। * কাঁঠালের শাঁস ও বীজকে চীন দেশে বলবর্ধক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শিকড়ের রস জ্বর এবং পাতলা খায়খানা নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। তাই খাদ্য পুষ্টি স্বাস্থ্য চান- ফল ফলাদি বেশি খান।
ষ ডা. মাও. লোকমান হেকিম
চিকিৎসক-কলামিস্ট
মোবা : ০১৭১৬২৭০১২০



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশের কাঁঠাল

আরও পড়ুন