Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গিলবার্টস সিনড্রোম ও জ-িস

প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

প্রতিনিয়ত আমরা বিভিন্ন ধরনের জ-িসে আক্রান্ত হই। এই জ-িসের আছে হাজারো কারণ। হেপাটাইটিস বি ও সি যেমন ভীতিকর, পাশাপাশি গিলবার্টস সিনড্রমের মত ভীতিহীন কারণও আছে। এটা একটি উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত রোগ। জ-িসের কারণ হিসাবে প্রায়শঃ চোখে পড়ে। রক্তে অল্প পরিমাণে বিলিরুবিন বাড়ে। বিলিরুবিন হলুদ রঙের জিনিস যা রক্তে থাকে, বয়ষ্ক লোহিত রক্ত কনিকা ভাঙলে তৈরি হয়।
শতকরা ২ থেকে ৭ ভাগ মানুষ এই সিনড্রোমে ভোগে। এক ধরনের এনজাইমের কার্যকারিতার অভাবে বিলিরুবিন কনজুগেশন হয় না, এ জন্য তার আধিক্য হয়ে জ-িস হয়।
বেশির ভাগ সময়ে চামড়া ও চোখ হলুদ ছাড়া কোন অসুবিধা থাকে না। রোগীর দেহে সব সময়, মাঝে মধ্যে কিংবা কম বেশি হয়ে জ-িস থাকতে পারে। এখানে রক্তে সাধারণত বিলিরুবিন বাড়ে কিন্তু লিভার এনজাইম স্বাভাবিক থাকে। আলট্রাসনোগ্রামে হেপাটোবিলিয়ারি সিস্টেমও  স্বাভাবিক থাকে। বিলিরুবিনের মাত্রা ১.৫ মিলিগ্রাম/ডিসি লিটার পর্যন্ত স্বাভাবিক, এখানে বাড়ে কিন্তু ৬-এর নীচে থাকে।
সান্ত¡না দিয়ে রোগটা বুঝানো ছাড়া কোন চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না।
গিলবার্টস সিনড্রোম সারা জীবনের রোগ, যা কখনই সিরোসিস বা ক্যানসারে পরিবর্তন
হয় না। তবে জ-িস হলে খারাপ কারণগুলোও মাথায় রাখতে হবে।
ষ প্রফেসর ডাঃ এ,কে,এম, মোখলেছুজ্জামান
কনসালটেন্ট ইন্টারনাল মেডিসিন,
আসগর আলি হাসপাতাল, গে-ারিয়া।
মোবাইল : ০১৭৮৭৬৮৩৩৩৩



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গিলবার্টস সিনড্রোম ও জ-িস
আরও পড়ুন