Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রকৌশলীকে উপজেলা চেয়ারম্যানের মারধর

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর থেকে : | প্রকাশের সময় : ২১ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

চাঁদপুরের কচুয়ায় সাইট পরিদর্শনে গিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের হামলার শিকার হয়েছেন শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নূর আলম। মারধরের পর তাকে স্থানীয় হাসপাতালে যেতেও বাধা দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন ওই প্রকৌশলী।

গত রোববার দুপুরে উপজেলা পরিষদ এলাকায় কচুয়া শহীদ স্মৃতি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ৬ তলা ভবনের কাজ পরিদর্শনে গেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।

স্থানীয়রা জানান, চাঁদপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের অধীনে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে কচুয়া শহীদ স্মৃতি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ তলা ভবনের নির্মাণ সামগ্রীর মান যাচাই করতে যান কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপায়ন দাস শুভ ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী নূর আলম। হঠাৎ করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির তার লোকজন নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।

হামলার শিকার উপ-সহকারী প্রকৌশলী নূর আলম বলেন, কচুয়া শহীদ স্মৃতি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের সাইট থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান কয়েক বস্তা সিমেন্ট চেয়েছিলেন। কিন্তু সিমেন্ট না দেয়ায় তিনি দু’দিন আগে সাইট বন্ধ করে দেন। পরে আমরা খবর পেয়ে সাইট পরিদর্শনে যাই। সেখানে গিয়ে পাথর যাচাই করছি, এমন সময় হঠাৎ করে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির কোনো কথা না বলেই হামলা চালায়। প্রথমে ইউএনও’র ওপর হামলা চালাতে গেলে তিনি মুখের মাস্ক খুললে তাকে না মেরে আমার ওপর হামলা চালায় এবং আমাকে মারধর করে। এ সময় চেয়ারম্যান বলেন, দড়ি আনো, তাকে বেধে রাখবো। পাশে থাকা লোকজন বলেন, তিনি তো প্রকৌশলী, তাকে মারছেন কেন? তখন চেয়ারম্যান তাদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকেন।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশিরের মোবাইলে কয়েকবার কল করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
ইউএনও দীপায়ন দাস শুভ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি সরকারের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে যাই। এ সময় ওই প্রকৌশলীও ছিলেন। সেখানে যাওয়ার পরে উপজেলা চেয়ারম্যান এসে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে অ্যাসোল্ট করেছেন। ঘটনার সময় তার সঙ্গে আরো কয়েকজন ছিলেন।

চাঁদপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী ফাহিম ইকবাল বলেন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী নূর আলম ঘটনাটি আমাকে ফোনে জানিয়েছেন। পরে বিষয়টি চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রকৌশলী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ