মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সমস্ত ফ্ল্যাশপয়েন্ট থেকে সেনা সরিয়ে নিতে রাজি হলেও, পূর্ব লাদাখে প্যাংগং ও ডেপসাং এর ফিঙ্গার পয়েন্টে দখলদারি বজায় রাখতে চাইছে চীন। ভারত তাতে রাজি নয়। ফলে, বুধবার টানা ১৪ ঘণ্টার বৈঠকের পরেও কোন সমঝোতায় যেতে পারেনি দুই পক্ষ। ফলে, লাদাখে উত্তেজনা প্রশমন করা কার্যত ভারতের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে খবর, আগামী ১৭-১৮ জুলাই লাদাখ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পরিদর্শনে যাবেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
চীনের সঙ্গে সীমান্ত-সমস্যার দ্রুত সমাধান যে হওয়ার নয়, তার অবশ্য আগেই ধারণা করা গিয়েছিল। তবে বুধবার সন্ধায় প্রথমে খবর ছড়ায়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষের সব ক’টি কেন্দ্র থেকে পূর্ণ ‘ডিএসএনগেজমেন্ট’-এ রাজি হয়েছে দুই বাহিনী। সূত্রের পক্ষে দাবি করা হয়, কয়েকটি পর্যায়ে ফিঙ্গারগুলির ডিএসএনগেজমেন্ট-এর প্রক্রিয়া তদারক করবে ভারত। বস্তুত গোটা প্রক্রিয়াটিই হবে ধাপে ধাপে, আলোচনা ও বৈঠক চলবে আরও কয়েক প্রস্থ। তবে রাতের দিকে ছবিটা আবার বদলে যায়।
লাদাখের প্যাংগং লেকের ধারের ফিংগার ৪ এলাকা থেকে এখনও পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহার করেনি চীন। আগের থেকে তাদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমলেও এখনও সম্পূর্ণ চীনা দখলদারি থেকে মুক্ত হয়নি ওই এলাকা। গত শুক্রবার প্রাপ্ত উচ্চ মানের উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে সম্প্রতি এমনই দাবি করেছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। এর আগে প্রাপ্ত উপগ্রহ চিত্রে ফিংগার ৪ অঞ্চলে লালফৌজের বিভিন্ন নির্মাণকাজের ছবি ধরা পড়েছিল। উল্লেখ্য, লাদাখে প্যাংগং লেকের ধারে আটটি পরপর সরু সরু অঞ্চল রয়েছে। এগুলি ফিংগার নামে পরিচিত। তার মধ্যে ফিংগার ৪ অঞ্চলে লালফৌজের সঙ্গে সংঘাত বেধেছিল ভারতীয় সেনা সদস্যদের।
ভারত চায়, চীন ফিঙ্গার ৮-এ তার ছাউনিতে ফিরে যাক। কিন্তু চীনের পিপলস নিবারেশন আর্মি ফিঙ্গার-২ পর্যন্ত তাদের দখল বজায় রেখেছে। চীন পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৭ নিজেদের দখলে রাখতে চাইছে। দুই পক্ষের সেনা পিছু হটলেও ভারতের সেনা সেটিকে ভিনটেজ পয়েন্ট হিসাবে ব্যবহার করতে পারে। আর সেই আশঙ্কা থেকেই পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৭ থেকে সরছে না।
চীন ও ভারতের মধ্যে বৈঠকটি মঙ্গলবার সকাল ১১টায় শুরু হয় ও বুধবার রাত ২টায় শেষ হয় বলে জানা গিয়েছে। এদিকে এই বৈঠক চলার আবহেই শেষ পর্যায়ে লাদাখ সীমান্তের কিছু এলাকা থেকে কিছু সেনা সরিয়েছে চীন। ভারতও সেখানে সেনার সংখ্যা কমিয়েছে। গত ১৫ জুন এই এলাকাতেই ভারতীয় সেনার সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষ বাঁধে চীনা বাহিনীর। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।