মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইথিওপিয়ার উত্তরাঞ্চলে নীল নদের প্রধান শাখা ব্লু নীলে ২০১১ সালে বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু করে ইথিওপিয়া। যেখান থেকে নীল নদের ৮৫ শতাংশ পানি প্রবাহিত হয়। গতকাল বুধবার নীল নদ থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য পানি প্রত্যাহার করা শুরু করেছে ইথিওপিয়া। বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য বিশাল জলাধারটিতে ভরা হচ্ছে এই পানি। নতুন করে এ বাঁধ দেওয়ায় বিপাকে পড়েছে মিসর। বিবিসি
ইথিওপিয়া পরিকল্পিত এই বাঁধটি নির্মিত হলে সেটা হবে আফ্রিকার সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এই বাঁধের ফলে নদটি সংলগ্ন মিসর, সুদানসহ দেশগুলোর সুরক্ষা ব্যাহত হবে।
ইথিওপিয়ার জলমন্ত্রী এর আগে সুদান ও মিশরের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপরই তিনি ঐ বাধে পানি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
খবরে বলা হয়, এই বড় বাধ ইথিওপিয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। দেশটির দাবি, এই বাঁধ চালু হলে প্রায় ১১ কোটি মানুষ দারিদ্র্যতা থেকে বেরিয়ে আসবে। একই সঙ্গে নীল নদের উপর বাঁধ দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হলে ইথিওপিয়া হয়ে উঠবে আফ্রিকার সব থেকে বেশি বিদ্যুৎ রপ্তানিকারক দেশ।
এই নিয়ে দেশটির জাতীয় টেলিভিশনে একটি বক্তব্য রেখেছেন ইথিওপিয়ার জল মন্ত্রী। এতে তিনি বলেন এই বাঁধ চালু হলে তার থেকে সরাসরি উপকৃত হবে দেশের সকল মানুষ। এমনকি এখান থেকে সুবিধা পাওয়ার জন্য বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। এরই মধ্যে নীলনদের পানির উচ্চতা ৫২৫ মিটার থেকে বেড়ে ৫৬০ মিটারে পৌঁছে গেছে।
এদিকে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শোউকরি বলেন, এই পানি প্রত্যাহারের ফলে নীল নদে যদি পানি প্রবাহ কমে যায়, তাহলে সেটি লেক নাসেরকে প্রভাবিত করবে। যার ফলে মিশরের আসওয়ান বাঁধে পানির প্রবাহ কমে যাবে, যেখান থেকে মিশরের বেশিরভাগ বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। মিসর আশঙ্কা করছে, এর ফলে ইথিওপিয়া, নদীটির পানির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।