পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলতি অর্থবছরে ৬৫ হাজার ৪৩৩ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। দেশের সবচেয়ে বড় রাজস্ব আদায়কারী এ প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ এই রাজস্ব আদায়ের টার্গেট দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা বেশি হলেও দ্রুত করোনার ধাক্কা কেটে গেলে তা অর্জন সম্ভব বলে মনে করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
রাজস্ব আদায় বাড়াতে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দরভিত্তিক এ প্রতিষ্ঠানে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো শুল্ক আদায়ে স্বচ্ছতা এবং মিথ্যা ঘোষণায় শুল্কফাঁকি রোধ। অসাধু চক্রের লাগাম টেনে ধরা গেলে রাজস্ব আদায় বাড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
করোনার মধ্যে গেল ২০১৯-২০ অর্থবছরে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়। যদিও টার্গেট অর্জন করা যায়নি। টার্গেট ছিলো ৫৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা। তার আগের অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয় ৪৩ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা। নতুন অর্থবছরে ৬৫ হাজার কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম ইনকিলাবকে বলেন, রাজস্ব আদায়ে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। সার্বিক কর্মকান্ডে শতভাগ স্বচ্ছতার পাশাপাশি শুল্কফাঁকি রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কাস্টম হাউসে লোকবল বাড়ানো হয়েছে। আমরা আশাবাদি রাজস্ব আদায় আরো গতিশীল হবে।
চট্টগ্রামে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক না হলে এ অর্থবছরেও সার্বিক রাজস্ব আহরণে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। প্রতিবছর কাস্টম হাউসের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় তা কিছুটা হলেও উচ্চাভিলাষী মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এর আগের বছর কত শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে সেটি বিবেচনায় না নিয়েই নতুন বছরে বাড়তি প্রবৃদ্ধি ধরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এই বছরের আমদানির গতি-প্রকৃতি বিবেচনা না করেই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করায় তা অর্জন চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়ে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসে রাজস্ব আয়ের প্রধান খাত জ্বালানি তেল, গাড়ি এবং ইলেকট্রনিকস খাতের আমদানি। ওই তিন খাতেই আমদানি অনেক কমেছে। ফলে সে সব খাত থেকে রাজস্ব আয় কমেছে। এ ছাড়া দেশে বিপুল ভোগ্য পণ্য আমদানি হলেও সেই পণ্যে শুল্কহার নাম মাত্র। ফলে আমদানি বেশি হলেও সে হারে রাজস্ব আদায় বাড়ছে না। তবে সার্বিকভাবে আমদানি রফতানি বাড়তে থাকায় রাজস্ব আহরণ বাড়ার ব্যাপারে আশাবাদি কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা।
এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত আছে। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে জাহাজ, পণ্য এবং কন্টেইনার হ্যান্ডলিং-সবকটি খাতে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বন্দর। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১০ কোটি ১৫ লাখ ৬৫ হাজার ২৭২ টন কার্গো (পণ্য) হ্যান্ডলিং হয়েছে বন্দরে। এর আগের অর্থবছরে যা ছিলো ৯ কোটি ৮২ লাখ ৪০ হাজার ৬৫৫ টন। এবার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩. ৪ শতাংশ। কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩০ লাখ চার হাজার ১৪২ টিইইউস। আগের অর্থবছরে যা ছিলো ২৯ লাখ ১৯ হাজার ২৩ টিইইউস। প্রবৃদ্ধি ২.৯ শতাংশ। গেল অর্থবছরে জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে তিন হাজার ৭৮৪টি। আগের অর্থবছরে এ সংখ্যা ছিলো দুুই হাজার ৬৯৯টি। প্রবৃদ্ধি ১.৭৫ শতাংশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।