পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতে ২০১৮ সালের ক্যামেরা ফাঁদ পেতে বাঘ শুমারি স্থান করে নিয়েছে বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। বাঘ শুমারি দলের দাবি, ২০১৮-১৯ সালের বাঘ শুমারি ছিল এ যাবৎকালের সর্বাধিক বিস্তৃত। ক্যামেরা ফাঁদ (মোশন সেন্সরের সাথে লাগানো আউটডোর ফটোগ্রাফিক ডিভাইস যেগুলো কোন পশু পাশ দিয়ে যাবার সাথে সাথে অটো রেকর্ডিং শুরু করে) ১৪১টি বিভিন্ন স্থানের ২৬ হাজার ৮৩৮টি লোকেশনে স্থাপন করা হয় যাতে ১ লাখ ২১ হাজার ৩৩৭ হাজার বর্গকিলোমিটার বা ৪৬ হাজার ৮৪৮ বর্গমাইল এলাকা আওতায় আসে। ক্যামেরা ট্র্যাপে ধারণ করা হয় মোট ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৫৮ হাজার ৬২৩টি ছবি। এতে ধরা পড়ে ৭৬ হাজার ৬৫১টি বাঘ এবং ৫১ হাজার ৭৭৭টি চিতাবাঘের ছবি। অবশিষ্ট ছবিগুলো ছিল অন্যান্য প্রাণীর।
বাঘের জরিপে কৃতিত্ব দাবিকারী দল আরো বলেছে, এসব ছবি থেকে তারা শাবক বাদ দিয়ে ২ হাজার ৪৬১টি বাঘকে আলাদা করে চিহ্নিত করতে পেরেছেন।
অভ‚তপূর্ব ক্যামেরা ফাঁদ ব্যবহার ছাড়াও ভারতে বাঘের পরিস্থিতি মূল্যায়ন-২০১৮ জরিপ ৫ লাখ ২২ হাজার ৯৯৬ কিলোমিটার বা ৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৭৫ বর্গমাইল এলাকায় পায়ের ছাপ পরীক্ষা করে গাছপালা এবং প্রাণীর বিষ্ঠার ৩ লাখ ১৭ হাজার ৯৫৮টি স্থানকে পশুদের বসবাসের স্থান হিসেবে চিহ্নিত করে। জরিপ দলের অনুমান, জঙ্গলের বিস্তৃতি ছিল ৩ লাখ ৮১ হাজার ২০০ বর্গকিলোমিটার বা ১ লাখ ৪৭ হাজার ১৮১ বর্গমাইল এবং জরিপ পরিচালনা তথা তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণে ব্যয় হয়েছে ৬ লাখ ২০ হাজার ৭৯৫ শ্রম-দিন।
মূল্যায়নটি ৩টি পর্যায়ে সম্পন্ন করা হয় এবং প্রাপ্ত তথ্যগুলো পরে পরিসংখ্যানগত গণনার মাধ্যমে বহুর্মুখী করা হয় যা উঠে আসে জরিপের চ‚ড়ান্ত ফলাফলে।
জরিপের ফলাফলে ইতিবাচক ইঙ্গিত মিলেছে যে, ভারতে বাঘের সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশ বেড়েছে। ২০১৪ সালের ২ হাজার ২২৬টি থেকে তা ২০১৮ সালে ২ হাজার ৯২৭টিতে উন্নীত হয়েছে।
গ্রাউন্ড জরিপ ও ক্যামেরা ট্র্যাপ ব্যবহার করে ২০১৮-১৯ সালে ভারতের ২০টি রাজ্যের ৮৮ হাজার ৯৮৫ কিলোমিটার বা ৩৪ হাজার ৩৫৭ বর্গমাইল এলাকার বনাঞ্চলে জরিপ চালানো হয়। অধিকাংশ বাঘের সন্ধান মিলেনে মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক এবং উত্তরাখন্ডে। এ ৩টি রাজ্যে মোট বাঘের সংখ্যা ১ হাজার ৪৯২টি।
তবে, বাঘের প্রত্যাবর্তন অব্যাহত রাখতে আরও গুরুত্বপূর্ণ কীটওয়েগুলি এখনও উন্নত করা দরকার, এর মধ্যে রয়েছে বাঘের অঞ্চলগুলির বিচ্ছিন্ন পকেটের মধ্যে ‘করিডোর’ উন্নত করা, অবৈধ শিকার হ্রাস করা এবং আবাস পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে শিকার সংখ্যা তৈরিতে সহায়তা করা। প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রকৃতিপ্রেমীদের আনন্দিত করে জানিয়েছিলেন যে, ভারতীয় বাঘের সংখ্যা ২০১৪ সালে ২২২৬ থেকে বেড়ে ২০১৮ সালে ২,৯৬৭-এ পৌঁছেছে। এটা ভারতকে বিশ্বের বন্য বিড়ালের জন্য সবচেয়ে বড় এবং সুরক্ষিত আবাসস্থলে পরিণত করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।