পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শ্রীলঙ্কায় করোনায় মৃত মুসলিম নাগরিকদের লাশ ইসলামী রীতিতে দাফন করতে না দিয়ে জোরপূর্বক পুড়িয়ে ফেলতে বাধ্য করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
গতকাল এক বিবৃতিতে দলটির মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেছেন, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত খবরে আমরা জানতে পেরেছি, শ্রীলঙ্কায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণকারী মুসলিম নাগরিকদের লাশ ইসলামী বিধান মেনে দাফন করার পরিবর্তে জবরদস্তিমূলকভাবে পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। দেশটির সরকার এ জন্য করোনাভাইরাস বিস্তার রোধের মনগড়া যুক্তি অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন, ওআইসি ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি শ্রীলঙ্কা সরকারের মুসলিমবিদ্বেষী সাম্প্রদায়িক ঘৃণা চর্চা বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানাচ্ছি। পাশাপাশি সার্কভুক্ত ও প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি শ্রীলঙ্কা সরকারের সেদেশের মুসলিম নাগরিকদের ধর্মীয় অধিকার বিরোধী পদক্ষেপ ও জাতিগত নিপীড়নের কড়া প্রতিবাদ জানানোর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ইসলাম ধর্মমতে যে কোন মুসলমানের মুত্যুর পর তার লাশের গোসল, কাফন ও জানাযা আদায় শেষে মর্যাদাজনকভাবে দাফন করার বিধান রয়েছে। তাছাড়া প্রচলিত বিশ্ব ব্যবস্থায়ও যে কোন মানুষ মৃত্যুর পর স্ব স্ব ধর্মবিশ্বাস মতে শেষ আনুষ্ঠানিকতা পাওয়া তার মৌলিক অধিকার।
জমিয়ত মহাসচিব বলেন, বর্তমান গোতাবায়া রাজাপাকসে সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর মুসলিম বিদ্বেষী তৎপরতা বহুগুণ বেড়েছে। নানা ছলছুতা ধরে মুসলমানদের অনেক মৌলিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে। করোনা মহামারিতে মৃত মুসলিমদের লাশ জবরদস্তিমূলক পুড়িয়ে ফেলার ঘটনা তার শেষ উদাহরণ। তাছাড়া করোনা টেস্ট ও চিকিৎসা পাওয়ার ক্ষেত্রেও দেশটির মুসলমানদের সাথে পশুর মতো আচরণের সরেজমিন প্রতিবেদন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় এসেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।