বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দেশে প্রতিবছর আনুমানিক ৬ লাখ মানুষ সাপের কামড়ের শিকার হন ও ৬ হাজার মানুষ মৃত্যুবরন করেন। গত বছর বন্যার পানিতে মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ ছিল সাপের কামড়। এ বছর বন্যায় এখন পর্যন্ত সাপের কামড়ে মারা গিয়েছে ১ (এক) জন। বিষধর সাপের কামড়ে বেঁচে গেলেও বিভিন্ন ধরনের পঙ্গুত্ব ও মানসিক সমস্যায় ভোগেন।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত ‘অরিয়েন্টশন অন স্নেক বাইট ম্যানেজমেন্ট’ অনলাইন প্রশিক্ষণ কর্মসুচিতে এসব তথ্য জানানো হয়। কর্মসূটিতে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) প্রফেসর ডা. নাসিমা সুলতানা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রফেসর ডা. সানিয়া তাহমিনা ও লাইন ডাইরেক্টর নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম ডা. মো. হাবিবুর রহমান। অধিদফতরের সভায় কক্ষে এই ট্রেনিং প্রোগ্রাম অনুুষ্ঠিত হয়। এসময় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন প্রাক্তন মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. এম. এ. ফয়েজ।
অনলাইন প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপণ করেন ডা. আরিফুল বাশার শিমুল। তিনি জানান, সাপের কামড় একটি অপ্রত্যাশিত দূর্ঘটনা ও একটি জরুরী স্বাস্থ্য সমস্যা। বাংলাদেশের গ্রামগুলোয় সাপের কামড়ে প্রায়শই ঘটে থাকে। বাংলাদেশের সর্বশেষ পরিসংখ্যান ২০১০ অনুযায়ী, প্রতি বছর আনুমানিক ৬ লাখ মানুষ সাপের কামড়ের শিকার হন এবং ৬ হাজার মানুষ মৃত্যুবরন করেন। গত বছর বন্যার পানিতে মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ ছিল সাপে কাটা। এ বছর এখন পর্যন্ত সাপের কামড়ে এক জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিষধর সর্পদংশনের পর বেঁচে যাওয়া অনেকের বিভিন্ন ধরনের পঙ্গুত্ব ও মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। সাপের কামড় সর্ম্পকে মানুষের মধ্যে অবৈজ্ঞানিক ভ্রান্ত ধারনা বিদ্যমান। দেশে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপকভাবে সাপের কামড় ঘটলেও বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসার চর্চা এখনও ব্যাপকভাবে শুরু হয়নি।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে সাধারনত ৫ ধরনের বিষাক্ত সাপ রয়েছে গোখরা, কেউটে, চন্দ্রবোড়া, সবুজ সাপ এবং সামুদ্রিক সাপ। সাপের কামড়ের চিকিৎসা নীতিমালা ২০১৯ অনুযায়ী এন্টি স্নেকভেনম আনুষঙ্গিক চিকিৎসা, কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা অনুসরন করা হয়ে থাকে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামেন পক্ষ থেকে সকল সরকারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত পরিমান এন্টি স্নেকভেনম ও অন্যান্য ওষুধ সরবরাহ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।