মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় দেশটির ‘উজ্জ্বল সাফল্যের’ প্রশংসা করেছেন। বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দেশটির ক্ষমতাসীন দল ওয়ার্কার্স পার্টির এক রাজনৈতিক বৈঠক শেষে কিম বলেন, “আমরা মারাত্মক ভাইরাসটির অনধিকার প্রবেশ ঠেকিয়ে দিয়েছি এবং দেশে স্থিতিশীল পরিস্থিতি ধরে রেখেছি”। শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ এ খবর জানিয়েছে।
তবে কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি বা মারা যাননি তিনি এমন দাবি করলেও তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ করছেন বিশ্লেষকরা। গত মে মাসে কিছু গণমাধ্যমে গুজবও ছড়িয়েছিল, করোনা আক্রান্তদের গুলি করে মেরে ফেলছে উত্তর কোরিয়া। খবর বিবিসি ও সিএনএনের।
বৈঠকে করোনা প্রতিরোধে নেওয়া কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরে কিম বলেন, ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে উজ্জ্বল সাফল্য অর্জিত হয়েছে পার্টির সেন্ট্রাল কমিটির দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে।
প্রতিবেশী দেশগুলোতে এখনও ভাইরাসের উপস্থিতি থাকায় উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা ‘লড়াই শিথিল না করে সর্বোচ্চ সতর্কতা’ বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, ‘মহামারি প্রতিরোধী পদক্ষেপে একটুও শিথিলতা আনলে তা হতে পারে অকল্পনীয় ও অপূরণীয় সংকটের কারণ।’
তবে কিমের এমন দাবি মানতে পারছেন না বিশ্লেষকরা। সিউলের উত্তর কোরিয়া বিরোধী গণমাধ্যম এনকে নিউজের ম্যানেজিং এডিটর ওলিভার হথম্যান বলেন, চীনের সীমান্তে থেকেও দেশটিতে করোনা আক্রান্ত হয়নি, এটি বিশ্বাসযোগ্য নয়। চীনের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি না, তারা করোনাকে এভাবে প্রতিরোধ করতে পেরেছে।
যদিও দেশটিতে থাকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ডিসেম্বরে ৬ মাস আগে যখন বিশ্বে করোনার সংক্রমণ ছড়াচ্ছিল, তখনই উত্তর কোরিয়া প্রতিবেশী চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেয় এবং হাজার হাজার লোককে আইসোলেশনে থাকতে বাধ্য করে। দেশে থাকা বিদেশিদের রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে কোয়ারেন্টাইনে পাঠায়। বন্ধ করে দেয় স্কুল-কলেজ।
বৃহস্পতিবারের দলীয় ওই বৈঠকে কিম করোনা মোকাবিলায় দেশটির ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির আদেশ মেনে নেয়ায় জনগণের প্রশংসাও করেন কিম।
দেশটি সীমান্ত বন্ধ করার পাশাপাশি বিদেশিদের রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে কোয়ারেন্টাইনে পাঠায়। দেশের নাগরিকদের আইসোলেশনে রাখার পাশাপাশি স্কুল বন্ধ করে দেয়। এখন স্কুল খুললেও জনসমাবেশ নিষিদ্ধ। তবে করোনা ভাইরাস ঠেকাতে কড়াকড়ি আরোপ করায় খাদ্যের অভাবে ভুগছেন উত্তর কোরিয়ায় ৪০ শতাংশ মানুষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।