পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকার গতানুগতিক, অবাস্তবায়নযোগ্য ও উচ্চাভিলাষী বাজেট দিয়ে পুরো জাতিকে ঋণের ফাঁদে আটকে ফেলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, গবেষণা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন অন্বেষণ গবেষণায় দেখিয়েছে করোনার কারণে চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ কমে যাবে। এভাবে কর আদায় কমে গেলে বাজেট বাস্তবায়নে ঘটাতি জিডিপির ৮ দশমিক ৫ শতাংশ হবে এবং মহামারী আরও প্রলম্বিত হলে তা আরও বেড়ে যাবে। অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা থেকে অনেক বেশি ঋণ করতে হবে। প্রস্তাবিত বাজেট ঘটাতির ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার সংস্থান করতে শেষ পর্যন্ত দায় এসে পড়বে সাধারণ মানুষের ওপর। কারণ বাজেটে কালো টাকা ও পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে বিশেষ কোন তৎপরতা নেই। এই অবস্থায় নতুন অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ২ শতাংশ নির্দিষ্টকরণের মাধ্যমে বোঝা যায় এই বাজেট ¯্রফে একটা সংখ্যা নির্ভর ধু¤্রজাল সৃষ্টিকারী বাজেট।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে নতুন অর্থবছরের বাজেটের বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই বাজেটটা কোনোমতেই বাস্তবায়নযোগ্য নয়। অর্থাৎ এতে আয় তারা কোত্থেকে করবেন সেটা সুনির্দিষ্টভাবে বলেনি। রাজস্ব আয় যেটা বলেছেন, এটা একেবারেই সম্ভব নয়। কারণ গত বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা যায় যে, ৫০ ভাগও তারা আদায় করতে পারেনি। এতে ঘাটতি গিয়ে ঠেকবে প্রায় ৪ লাখ কোটি টাকায়। ঘাটতি মেটানোর জন্য সরকারের মূল পদক্ষেপ হবে ঋণ করা। বাজেটেই উল্লেখ করা হয়েছে ব্যাংক থেকে নেওয়া হবে ৮৫ হাজার কোটি টাকা যেটা শেষ পর্যন্ত দ্বিগুণে গিয়ে দাঁড়াবে। ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের এই অকল্পনীয় পরিমাণ টাকা ধার করার ফলে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ একেবারে শূণ্যের কোঠায় চলে আসবে যা, কর্মসংস্থানের পথ একেবারেই বন্ধ করে দেবে।
তিনি বলেন, এই বাজেট করোনাকালীন সময়ের বাজেট নয়। এটা হচ্ছে একটা প্রোটোটাইপ ব্যুরোক্রেটিক ফরমেটে ফেলে দিয়ে তারা এই বাজেট তৈরি করেছে। এই বাজেট কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা এই বাজেট ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।
বাজেটে যেসব কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে তা সার্বজনীন নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, কর্মসূচিগুলো কিছু নির্দিষ্ট দল-গোষ্ঠিকে লক্ষ্য করে গৃহীত। এভাবে মূলত রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় গোষ্ঠীতন্ত্র লালন করা হচ্ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, মহামারীর কারণে অর্থনীতিতে দীর্ঘকাল যে মন্দা থাকবে তাতে মানুষের আয় ও অভ্যন্তরীণ ভোগ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়ে রাজস্ব আয়ে চরম ঘাটতি তৈরি হবে। তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারকে বিপুল পরিমাণ টাকা ছাপাতে হবে। তার ফলে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি তৈরি হয়ে সামষ্টিক অর্থনীতি প্রচÐ দুর্বল হবে, যার ফল হবে মারাত্মক।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, মহামারীর মধ্যে স্বাস্থ্য ও মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে এখন আপদকালীন একটা বাজেট সরকারের তৈরি করা উচিত ছিল। কিন্তু সেটি না করে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে মাত্র শূণ্য দশমিক ৯ শতাংশ। যা জনগণে হতাশই নয়, ক্ষুব্ধ করেছে। কারণ করোনার এই সময়ে মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে না। জেলা শহরে আইসিইউ নেই, আইসিইউ সুবিধা সম্বলিত এম্বুলেন্স নেই। এছাড়া দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দেয়া দরকার ছিল। সেটি না করে সরকার করোনা পরীক্ষায় ফি নেয়া শুরু করেছে। বিশে^ এটা বিরল, নেপালেও সরকারি ভাবে ব্যয় করা হয়। বেসরকারি হাসপাতালের ব্যয় নেপালের সরকার বহন করে। কিন্তু এখানে সরকার যে অমানবিক তার প্রমাণ দিচ্ছে। লকডাউনের কারণে ৭৮ দশমিক ৩ শতাংশ পরিবারের আয় কমেছে। সামাজিক সুরক্ষার ব্যবস্থা অপ্রতুল। নগদ অর্থ প্রেরণের কোন প্রস্তাব নেই। ত্রাণ বিতরণের যে কথা বলা হচ্ছে তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশ পরিবারের আয় দারিদ্র সীমার নিচে চলে যাবে। তাদের বিষয়ে সরকারের উদ্যোগ যৎসামান্য। কৃষিখাত কম বরাদ্দ এবং মেগা প্রকল্পগুলোতে বরাদ্দ দেওয়ার কঠোর সমালোচনা করেন বিএনপি মহাসচিব।
এই বাজেট প্রত্যাখ্যান করে দল থেকে কোনো কর্মসূচি দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রতিবাদ কর্মসূচি নির্ভর করে সময় ও কালের উপরে। এখন যে সময়টা চলছে এ সময়ে কোনো কর্মসূচি দেওয়াটা খুবই কঠিন। আমরা তো আমাদের বক্তব্য বলে যাচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।