ইরানের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা নবায়নে আবারও তোড়জোড় শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পরমাণু সমঝোতা থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে যাবার পর আমেরিকা ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি বাস্তবায়ন করে আসছে। তারই অংশ হিসেবে মার্কিন কর্মকর্তারা নিরাপত্তা পরিষদে একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করেছে যা গৃহীত হলে ইরানের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা অনির্দিষ্ট কালের জন্য নবায়ন হবে।
নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাব অনুযায়ী ইরানের ওপর থেকে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা চলতি বছরের ১৮ অক্টোবর উঠে যাবার কথা ছিল। সমঝোতা অনুযায়ী ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখার যে-কোনো পদক্ষেপ হবে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের বিরোধী। সুতরাং নিষেধাজ্ঞা নবায়নের যে-কোনো পরিণতির জন্য ইউরোপ এবং আমেরিকাকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইয়্যেদ আব্বাস মুসাভি গতকাল সাংবাদিকদের দেওয়া সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেছেন: ইসলামী প্রজাতন্ত্রের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা সম্পর্কে কারো সঙ্গেই কোনোরকম আপোষ নেই।
ইরান এখন গর্বিত যে প্রতিরক্ষার প্রয়োজনীয় সকল সামরিক সরঞ্জাম বাইরের কোনো সাহায্য ছাড়া দেশের অভ্যন্তরেই তৈরি হচ্ছে। ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নসহ ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতার একটি নমুনামাত্র। ইরান অস্ত্র কেনাসহ প্রতিরক্ষা ও সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে কোনো দেশের অনুমতির তোয়াক্কা করবে না বলেও মন্তব্য করেন জনাব মুসাভি। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বক্তব্যে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট বার্তা রয়েছে। অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা নবায়নের সম্ভাব্যতায় তেহরানের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন: তেহরান অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো বিশেষ কিছু পদক্ষেপ নিয়ে রেখেছে। তবে তেহরান মনে করে এতোটুকু বিবেকবোধ অবশ্যই থাকা দরকার যাতে সেইসব পদক্ষেপ নিতে না হয়।
সূত্র: পার্সটুডে