গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীতে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চডুবিতে মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। লঞ্চডুবিতে মর্মান্তিক মৃত্যুতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শোক প্রকাশ করছেন। পরিচিতজনরা করছেন স্মৃতিচারণ।
সোমবার সকালের এই ট্র্যাজেডি স্তব্ধ করে দিয়েছে গোটা দেশকে। সবাই যেন শোকে কাতর। এমন মৃত্যুর ঘটনা মেনে নেয়ার মতো নয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ঢাকার কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীর শ্যামবাজার ঘাটে যাত্রীবাহি একটি লঞ্চ অন্য একটি লঞ্জের ধাক্কায় ডুবে যাওয়ার এই ঘটনায় এপর্যন্ত ৩২জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজদের উদ্ধারে তৎপরতা এখনো অব্যাহত আছে। এই ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ফেইসবুকে রফিকুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘বছরের পর বছর দুর্ঘটনা ঘটেছে, কঠিন বিচারের কোন দৃষ্টান্ত মনে করতে পারছি না। বিভিন্ন ধাপে অনিয়মের দীর্ঘ তালিকায় অনেকে জড়িত আছে কিন্তু অবস্থা দেখে মনে হয় সব দোষ শুধুমাত্র আমাদের মতো সাধারণ মানুষের যারা জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে ঝুঁকি নিয়ে নৌ পথে ভ্রমণ করে,, ফিটনেস সহ বা ফিটনেস ছাড়া, অতিরিক্ত যাত্রী বা যা কিছুই বলি না কেন নিয়ন্ত্রণ কোথায়!? লঞ্চগুলোর সঠিক তদারকির অবহেলায় এই রকম দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে, এটার দায়-বার নৌপরিবহন মন্ত্রী এড়িয়ে গেলে চলবে নাহ্।’’
ফিরুজ আহাম্মেদ লিখেছেন, ‘‘লঞ্চ ডুবিতে তদন্ত কমিটি, রেলগাড়ী লাইনচ্যুতিতে তদন্ত কমিটি,ঘুষ দুর্নীতিতে তদন্ত কমিটি,পুলিশি অত্যাচারে তদন্ত কমিটি, চাকুরি নিয়োগের অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত কমিটি,গণধর্ষণে তদন্ত, মৃত্যুতেও তদন্ত শুধু তদন্ত নেই আগত জন্মে,আসলে আজোবধি এই তদন্ত কমিটির কোন সমাধানের অস্তিত্ব কেউ খোঁজে পেয়েছে? এই কমিটি সর্বদা অধরাই থেকে যায়,গঠন পর্যন্তই সমাধান।’’
আহমাদ ইসতিয়াক লিখেছেন, ‘‘জলে ডাঙ্গায় সব জায়গাতেই মানুষের লাশের সারি!! আহারে জীবন। এদেশে করোনায় মানুষ মরলে, লঞ্চ ডুবে মানুষ মরবে, রাস্তায় মানুষ মরবে! এদেশে মানুষের কোন মূল্য নেই!’’
মোঃ শরিফুল ইসলাম শেখ লিখেছেন, ‘‘নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং সরকার ঘোষিত আর্থিক সহযোগিতা যেনো সুষম বন্টন হয় সেই আশা ব্যক্ত করছি।’’
সাহি রহমান লিখেছেন, ‘‘সব ঘটনার তদন্ত কমিটি পর্যন্ত পরে থাকে। এর সমাধান কি হয় কেউ জানতে পারে না। সঠিক বিচার হোক। দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।’’
সুজন মনি লিখেছেন, ‘‘শত শত মানুষের চুখের সামনে একটির সাথে আরেকটির ধাক্কা লেগে লঞ্চটি ঢুবে যায়, এতে তদন্ত কমিটির গঠনের কি আছে, সব কিছুতে তদন্ত কমিটি করাকি মানুষিক রোগ হয়ে গেছে।’’
সঞ্জয় ঘোষ লিখেছেন, ‘‘মাননীয় মন্ত্রী মহদয়ের কাছে বিনীত অনুরোধ করব যে তদন্ত কমিটি গঠন করেই যেন এর কাজ শেষ না হয়, তদন্ত সাপেক্ষ দোষী ব্যক্তিদের সাজা যেন নিশ্চিত করা হয়।’’
উল্লেখ্য, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে মর্নিং বার্ড নামে একটি লঞ্চ অপর একটি লঞ্চের ধাক্কায় নদীতে ডুবে যায়। এতে ধাক্কা প্রদানকারী এমভি ময়ুরী-২ লঞ্জটিকে আটক করা হলেও ওই লঞ্চের চালক পলাতক রয়েছে। জানা যায়, মুন্সীগঞ্জের কাঠপট্রি এলাকা থেকে এমভি মর্নিং বার্ড নামে একটি ছোট যাত্রীবাহী লঞ্চ প্রায় অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে সদরঘাটের শ্যামবাজার ঘাটের দিকে আসছিল। এসময় লঞ্চটি ঘাটে ভেড়ার কয়েক মিনিট আগে ওই ঘাটের বপরীত থেকে আসা এমভি ময়ুরী-২ নামে অপর একটি লঞ্চ তাকে ধাক্কা দিলে সাথে সাথেই লঞ্চটি নদীতে ডুবে যায়। এতে সাতরিয়ে কিছু যাত্রী পাড়ে উঠলেও বেশীরভাগ নদীতে ডুবে নিখোঁজ হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।