পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের সেন্টমার্টিনকে ফের মিয়ানমারের ভূমি হিসেবে দেখানোয় প্রতিবাদের ঝড় বইছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রতিবেশী দেশটির এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে ক্ষোভ, নিন্দা ও জোরালো প্রতিবাদে ফেটে পড়েছেন বাংলাদেশের জনসাধারণ। দুই বছরের মাথায় মিয়ানমার দ্বীপটিকে পুনরায় নিজেদের দাবি করায় দেশটির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি তুলেছেন দেশপ্রেমিক জনতা।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাইট কোপর নিকাসে দেখানো হচ্ছে, বাংলাদেশের সীমানা ও ইকোনোমিক জোনের বাইরে অবস্থান এই প্রবাল দ্বীপের। বাংলাদেশের সেন্টমার্টিনকে তারা দেখাচ্ছে মিয়ানমারের ভূমি হিসেবে। মিয়ানমার রোহিঙ্গা ইস্যু থেকে দৃষ্টি সরাতেই সেন্টমার্টিনের মালিকানা দাবি করে মানচিত্র প্রকাশ করে থাকতে পারে বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের।
এরআগে ২০১৮ সালের অক্টোবরেও মিয়ামনার একই কাজ করেছিল। সে সময় রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও’র হাতে একটি কূটনৈতিক চিঠি ধরিয়ে দেয় বাংলাদেশ। যাতে সেন্টমার্টিন যে বাংলাদেশের অংশ তার পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রমাণ রয়েছে। পাশাপাশি ওই চিঠিতে মিয়ানমারের এমন আপত্তিকর কাজের জবাবও চাওয়া হয়। পরে বাংলাদেশের প্রতিবাদের পর জাতিসংঘে চিঠি দিয়ে ক্ষমা চায় মিয়ানমার।
মিয়ানমারের এই উস্কানিমূলক আচরণের কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে এম ফজলুল বারি লিখেছেন, ‘‘মিয়ানমারের এই ঔদ্ধত্য সহ্য করার মত নয়। এর আগেও তারা একবার সেন্টমার্টিন দ্বীপকে তাদের নিজস্ব এলাকা বলে দাবী করেছিল। আবার এখন করলো, তখন বুঝে শুনেই করেছে বলে মনে হয়। নিঃসন্দেহে বলা যায়, ইহা একটি সম্পূর্ণ উস্কানিমূলক আচরন। বাংলাদেশ সরকারের উচিত হবে এ বিষয়ে জোড়ালো প্রতিবাদ করার। প্রয়োজনে আমাদের নেভির জাহাজ ও ফ্রিগেট দিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে কর্ডোন করার ব্যবস্থা করতে হবে।’’
মেজবা লিখেছেন, ‘‘এখনো সময় আছে বাংলাদেশের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার যা পৃথিবীর সকল রাষ্ট্র করছে। সেন্টমার্টিনে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প তৈরি করা। বিজিবিকে নিজের কাজে না লাগিয়ে সীমান্তে আধুনিক অস্ত্রহাতে বসিয়ে দিন। পাহাড়ি শান্তি বাহিনী আমাদের গলার আরেক কাটা। এগুলোকে কুকুরের মত মারেন দেখবেন মায়ানমারের নাচ বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের দেশে কিছু হারামি আছে যারা কেউ ভারত প্রেমি আর কিছু আছে মায়ানমার প্রেমি, এই রাজাকারের বাচ্চাগুলো যদি না সরানো যায় তাহলে ১৯৭১ সাল আবারো দেখা লাগবে। আমার মনে হয়না সরকারের এ বিষয় নিয়ে কোন মাথাব্যথা আছে।তারা বাংলা সিনেমার মত আচরণ করছে (প্রতিশোধ)।’’
শাহানেওয়াজ গাজী লিখেছেন, ‘‘সেন্টমার্টন মিয়ানমারের কুমিল্লা, সিলেট অংশ ভারতের। এটাকে দাবী বলবো নাকি লুটতোরাজ বলবো? কারন বাংলাদেশে যেভাবে লুটপাট চলচে তাই প্রতিবেশী দেশগুলোও লুট করে কিছু জায়গা নিতে চাচ্ছে। তাদের এই অবৈধ আবদারের প্রতিবাদ করার ক্ষমতা আমাদের নেই। কারন আমরাইতো অবৈধ।’’
স্মৃতী রওসন লিখেছেন, ‘‘রোহিঙ্গাদের আসার মূল উদ্দেশ্যই সেন্টমার্টিন, কক্সবাজার দখল করা।তারপর পুরো দেশটা দখল করা। এদেশ থেকে যদি রোহিঙ্গাদের বের করে না দেওয়া হয় তাহলে ভবিষ্যুৎ এ চরম বিপদ অপদক্ষা করছে।’’
এম. জেড. পারভেজ লিখেছেন, ‘‘মিয়ানমারকে একটা শিক্ষা দেয়া উচিত আমি সরকারকে বিশেষ অনুরোধ করবো তুরষ্কের সাথে সামরিক চুক্তি করতে৷ মিয়ানমারের বারবার এহেন আচরন ফেলনা নয়। একেতো রোহিঙ্গা ক্রাইসিস সৃষ্টি করে বাংলাদেশকে কঠিন পথে ঠেলে দিয়েছে তার ওপর উস্কানিমূলক আচরণ মেনে নেয়া যায়না। চিন আর মিয়ানমার পর্দার এপিঠ-ওপিঠ। তাই সরকারকে প্রতিরক্ষা খাতে অবশ্যই তুর্কীমূখী হতে হবে ভুল করলে ক্ষতীর সম্ভাবনা আছে৷’’
রনি লিখেছেন, ‘‘সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমার বাংলাদেশকে নানা ভাবে উস্কানি দিচ্ছে এবং অনেক বেশি বাড়াবাড়ি করছে আমাদের সরকারের উচিত এখনই মিয়ানমারকে কড়া বার্তা দিয়ে উচিত জবাব দেওয়া।একি সাথে অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে না নিলে আরাকান রাজ্যে বাংলাদেশের দখল করা উচিত।’’
মোঃ আনিচুর রহমান লিখেছেন, ‘‘ত্রিশ লক্ষ ফেরত পাঠাবে ভারত,,, দশ লক্ষ দিয়ে বসে আছে মিয়ানমার,,, আবার সেন্টমাটিন তাদের ম্যাপে,,, আমরা যখন ক্যাসিনো খেলায় ব্যাস্ত অন্য রা তখন আমাদের দেশ নিয়ে ব্যাস্ত,,,,মিয়ানমারকে কিছু না বলে ছেড়ে দিলে এর পরিনাম হবে ভয়াবহ।’’
কাইসার আলম লিখেছেন, ‘‘হতে পারে এটি আঞ্চলিক নয়, বরং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। এক্ষেত্রে আমাদের সরকারের কঠোর সজাগ ও কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি সশস্ত্রভাবে সচেতন থাকতে হবে। অনুরূপভাবে দেশের জনগণকেও শত্রু মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত থাকতে হবে।’’
শাহাদৎ কবির লিখেছেন, ‘‘ভারতীয় সচিবের মিয়ানমার সফর, তারপর ভারতের মিয়ানমারকে সাবমেরিন দেয়া...এই দুই ঘটনার পর থেকে মিয়ানমারের ঔদ্ধত্য বেড়েছে ১০ গুণ। এখানে কলকাঠি নাড়ছে আসলে বন্ধুরাষ্ট্র(!!!!!) ভারত..।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।