পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সোশাল মিডিয়ার কল্যাণে আমরা দেখতে পাচ্ছি, দেশে মুদ্রাস্ফীতি, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষের দামের ঊর্দ্ধগতি। পাহাড়ি ঢল বন্যা ও দুর্যোগে মানুষের অবস্থা বড়ই বেহাল। পাশাপাশি কথিত গণ তদন্ত কমিশনের দেশ বিরোধী, চরম সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক এবং ইসলাম ধর্ম অবমাননাকর ঔদ্ধত্যের পক্ষে বিপক্ষে টিভি ও অনলাইন টকশোর সয়লাব। মনে হয় ইচ্ছাকৃতভাবেই কেউ বিষয়টিকে প্রোপাগান্ডায় নিয়ে এসেছে। যে সে ডাকলেই শামছুদ্দিন আহমদ মানিক ও তুরিন আফরোজ টকশোতে যোগ দিচ্ছেন। নিয়মিত গালাগাল শুনছেন। মনে হয়, কারো চাকরি করেন তাই কিছু করার নেই। সকাল সন্ধ্যা গণধিক্কারের মুখোমুখি হতে বাধ্য।
কিছু আলোচক, কিছু আলেম দাওয়াত করা হয় আর তারা এই বাজে বিষয়টি নিয়ে খুব বিতর্ক করেন। চিন্তা করলে মনে হবে, দেশে আর কোনো ইস্যু নেই। ইতোমধ্যে আবার এনায়েতউল্লাহ আব্বাসী সাহেবের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম একটি সাইবার অপরাধ মামলা করে ফেলেছে। তিনি নাকি ভাষাগত একটি বিশ্লেষণে আইন লঙ্ঘন করে ফেলেছেন। আইনের বিষয় আইন দেখবে। তবে, কঠিন ধারার কোনো মামলা মানুষের কথা বলার স্বাধীনতাটুকুও কেড়ে নিতে পারে। রাজনৈতিক নিপীড়নেরও অস্ত্র হতে পারে।
আরেক চ্যানেল বিদেশে বসে তুরিন আফরোজের মায়ের সাক্ষাৎকার ছেড়েছে। এখানে তার মা মেয়ের মারাত্মক নীতিহীনতার রূপ ও অমানবিকতার বর্ণনা দিয়েছেন। হিন্দু মহাসভার বড় এক নেতা এই কমিটির কাজকে নিন্দা জানিয়ে লাইভে এসেছেন। তিনি যা বলেছেন, তার সারমর্ম দাড়ায়, দেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হলে এরা তদন্ত কমিটি করে না। আলেম ও মাদরাসার বিরুদ্ধেও তদন্ত কমিটি করতো না, যদি মোটা অংকের টাকা না পেত। বিশাল ফান্ডের ব্যবহার বৈধ করার জন্য এরা দায়সারা একটি তদন্ত করেছে। যা ভুলে ভরা। দু’য়েকজন আলেম বক্তৃতায় কোনো বেআইনি কথা বলে থাকলে, সাথে সাথে মামলা করা যেত।
ঢালাওভাবে ১১৬ জন আলেম ও এক হাজার মাদরাসার হাজারো আলেম ও লাখো ভক্তকে ক্ষ্যাপিয়ে তারা দেশে একটি ঝামেলা বাধাতে চায়। আলেমমাত্রই সাম্প্রদায়িক না। তারা হিন্দুদের কোনো ক্ষতি করেন না। ব্যক্তিগতভাবে কেউ করলে, এর জন্য আইন আছে। সবকিছুর জন্য সরকার আছে। এদেরকে তদন্ত করতে কে বলল। প্রাপ্ত টাকা হালাল করার জন্য এরা এমন বাজে কাজ করেছে। আমরা দেখেছি, অসাম্প্রদায়িক দাবি করা অনেক লোকেরা হিন্দুদের বেশি ক্ষতি করে।
তিনি ঘাদানিকের এক নেতাকে পাকবাহিনীর মুরগী সাপ্লাইকারী, এক নেতাকে মুক্তিযোদ্ধা জাল সনদধারী, দেশে বিদেশে উৎস অজ্ঞাত সম্পদের মালিক, আরেকজনকে নষ্টা ভ্রষ্টা দুর্নীতির দায়ে বহিষ্কৃতা ইত্যাদি বিভিন্ন মানুষের বক্তব্যের রেফারেন্স টেনে বলেছেন, এই কমিটির বহু লোকজনের নামে বাজারে অনেক গল্প চালু আছে। মাদরাসা ও আলেমদের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য আর কোনো আস্থাভাজন লোক কি পাওয়া গেল না?
এটিএন বাংলায় মানি লন্ডারিং নিয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু না জানা, হেলিকপ্টারে চলাচল, মাদরাসায় দুর্নীতির অভিযোগ বিষয়ে মানিক সাহেবকে এক আলেম তুলোধুনো করেন, যা ছিল বড়ই নির্মম। বলা হয়, আলেমদের মানুষ নিজেদের টাকায় ভালোবেসে হেলিকপ্টারে করে নেয়, মানিক সাহেবকে তো রিকশায়ও নেবে না। তাছাড়া, অনিয়ম দুর্নীতি জাল সনদ নৈতিক অপরাধের তকমা পাওয়া লোকজন কীভাবে ধর্মীয় অঙ্গনে অসাংবিধানিক উপায়ে তদন্তের নামে সাম্প্রদায়িক ঘৃনা ছড়ানোর কাজ করতে পারে, এমন প্রশ্নও তোলা হয়।
তুরিন ও শামসুদ্দিন মানিক জনগণের দ্বারা ধিকৃত হয়েও রীতিমত টকশোতে হাজির হচ্ছেন। মানিক সাহেব দুয়েকটি টক শোতে অকারণে মেজাজ হারাচ্ছেন। গত বুধবার একটি চ্যানেলে উপস্থিত হলেও তিনি একজন আলেমের নাম শুনেই টক শো না করে চলে যান। কর্তৃপক্ষকে বলেন, কমিটি এখানে ডিবেট করার বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। যদিও একই সময় তুরিন আফরোজ অন্য এক নিউজপোর্টালে একদল আলেমের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হচ্ছিলেন। মনে হয়, এই খেলাটি যারা জুড়েছে তারা এটি নিয়ে পানি আরও ঘোলা করবে। দেশ জাতি সরকার ও রাষ্ট্রকে এসব অস্বাভাবিক ভূমিকা নেওয়া লোকেদের ক্রিয়াকলাপ থেকে সাবধানে থাকতে হবে।
সোশাল মিডিয়ায় একটি বিষয় মানুষকে স্বস্তি দিচ্ছে। সিলেট ও আশেপাশের এলাকায় পানিবন্দী মানুষের ঘরে আলেম ইমাম ও মাদরাসার ছাত্ররা সাঁতরে গিয়ে খাবার ও জরুরি সামগ্রি পৌঁছে দিচ্ছে। বৃহত্তর সিলেটে মাদরাসা শিক্ষিত, আলেম ও পীরের মুরিদগণ বর্তমানে যারা জনপ্রতিনিধি তারা নিজে পানি ভেঙ্গে মানুষের দ্বারে দ্বারে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন।
দেশের দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় বিশেষকরে ভাটি অঞ্চলে মাদরাসাগুলো অসহায় মানুষের জন্য খোলা। কোথাও দিনে একবার ডাল চাল তরকারী একসাথে দিয়ে লাবড়া রান্না হচ্ছে। তারা অনেকে চুলা জ্বালাতে পারেন না, তারা নৌকায় বা পানি ভেঙ্গে মাদরাসায় এসে এসব নিচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পীর মাশায়েখের দরবার, মসজিদ মাদরাসা ও আলেমগণের মাধ্যমে আমাদের কাছে খবর আসছে যে, দুর্যোগের এ সময় আরও শতগুণ সাহায্যের প্রয়োজন।
বড় বড় দরবার, খানকাহ, বিখ্যাত মাদরাসা, মসজিদ কর্তৃপক্ষের উচিত তাদের জন্য কল্যানের হাত এই মুহূর্তে প্রসারিত করা। জুমার নামাজে ওয়ায়েজ, আলেম ও মাদরাসাবিরোধী সংবিধানবিরোধী এবং সাম্প্রদায়িক চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করার সাথে সাথে দেশবিরোধী সব কুলাঙ্গারের চরম বেয়াদবীর ব্যাপারে দেশের মানুষকে সতর্ক করার পাশাপাশি বেশি করে দান সদকা, ত্রাণ, সাহায্য চালু করার বয়ান দিতে হবে।
দেশের ৪ লাখ মসজিদ যেন দুর্যোগের সময় বিপদগ্রস্ত মানুষের শান্তনার জায়গা হয়। মাদরাসাগুলো যেন হয় দুঃখী মানুষের আশ্রয়স্থল। যদিও ছোট ছোট হাজারও মাদরাসা নিজেই দুঃখী মানুষে ভরা। পিতৃহীন, দুর্বল, দরিদ্র, অসহায় ছাত্ররা এবং নিঃসহায় আলেমরা দুর্যোগের সময় নিজেরাই খেয়ে না খেয়ে থাকেন। সুবিধা মতো অন্যের প্রতিও সাহায্যের হাত বাড়ান। এদেশের চরম দরিদ্র মানুষও যথাসাধ্য দান সদকা করে। সে সময় সমাজের স্বাভাবিক মানুষ বা বিত্তশালীরা যদি মাদরাসায় লঙ্গরখানা খুলেন তাহলে কর্মশক্তি ফ্রিতে পাবেন। আর মাদরাসাওয়ালারা এসব দানের ব্যবস্থাপনাকালে এলাকার নিঃস্ব অসহায়দের সাথে নিজেদের খাবারগুলোও ভাগ করে খাবে।
নবী করিম (সা.) বলেছেন, দু’জনের খাবার তিনজনের, তিনজনের খাবার চারজনের জন্য যথেষ্ট। তিনি আরও বলেন, দুনিয়াবাসীর উপর দয়া কর। উপর থেকে আল্লাহ তোমাকে দয়া করবেন। আল্লাহর রাসূল (সা.) ধনী গরিব সবাইকে বলেছেন, তুমি একটি খেজুর বা সামান্য একটু খাদ্য দান করে হলেও নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা কর। কোরআন শরীফে আল্লাহ বলেছেন, সবচেয়ে কঠিন সাধনা হচ্ছে, অভাব ও দুর্যোগের দিনে ক্ষুধার্ত মানুষকে খাবার দেওয়া।
আল্লাহর নবী এবং তার খলিফাগণ রাষ্ট্র পরিচালনার সময় নাগরিকদের ভুখা রেখে নিজেরা খাবার খাননি। ইসলাম প্রচারক ওলী দরবেশগণেরও একই নীতি ছিল। দেশের লাখো মসজিদের স্বচ্ছল মুসল্লী, বড় মাদরাসাগুলোর সক্ষম আলেম, ওয়াজের ময়দানে বিত্তশালী বক্তা ও ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠিত দরবারসমূহের সামর্থবান পীর মাশায়েখগণ দুর্যোগের সময় মানুষের কাছাকাছি গিয়ে তাদের দুঃখ কষ্ট লাঘব করার অতীত ঐতিহ্য ধরে রাখবেন এটাই আজকের প্রত্যাশা।
হাজার বছর ধরে সৃষ্টির সেবা, দেশপ্রেম ও জনকল্যাণের দ্বারাই তারা বাংলার মানুষের নয়নের মনি হয়ে আছেন। শত বছরেও দেশি বিদেশী কুকুরেরা হাজার ঘেউ ঘেউ করেও তাদের এই উজ্জ্বলতাকে ম্লান করতে পারেনি। বাংলাদেশে কমবেশি ৭০০ বছর মুসলিম শাসন ছিল। দেড় হাজার বছর ধরে ইসলামী সমাজ ও সংস্কৃতি রয়েছে। যার মূল শক্তি ছিল আল্লাহর উপর বিশ্বাস, রাসূল ও সাহাবীগণের পরম মানবিক শিক্ষা, ওলী আউলিয়া, ধর্মপ্রচারক, ওয়ায়েজ ও উলামা মাশায়েখের নজিরবিহীন জনকল্যাণ, জনসংযোগ ও অফুরন্ত মায়া মমতা। আলেমগণ বর্তমানে এই অপপ্রচার ও অপবাদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া কান্নাকাটি নালিশ এবং সাধ্য পরিমাণ চেষ্টার পাশাপাশি মানবতার সেবায় আত্মনিয়োগ করুন।
নবী করিম (সা.) বলেছেন, আল্লাহ ততক্ষণ তার বান্দার সাহায্যে থাকেন, যতক্ষণ সে তার অপর ভাইয়ের সাহায্যে লেগে থাকে। মানুষ ও জিন শয়তানের পেছনে সময় কম দিয়ে আপনারা জনগণের দুঃখের দিনে তাদের আরও কাছাকাছি চলে যান। আল্লাহর গায়েবি ও কুদরতি মদদ আপনারা লাভ করবেন। বিজয় ইসলামেরই হবে। আপনাদের কার্যক্রম মানুষ দেখুক। জনগণ এটিও দেখুক যে, বিদেশী দালাল, ইসলাম ও মুসলিম বিরোধী সা¤প্রদায়িক অপশক্তি ও ঘৃণা বিদ্বেষের ব্যাপারীরা বাংলাদেশকে আসলে ভালোবাসে না।
অন্য জায়গার খুদকুঁড়া ও ভিনদেশের এঁটোকাঁটা খাওয়া বাজে চরিত্রের কিছু মানুষ কোনোদিন গণ মানুষের কল্যাণ চায় না। তারা স্বাধীন সমৃদ্ধ শান্তিপূর্ণ স্বদেশের সর্বনাশ করতে পারে নির্দ্বিধায়। এরা নাস্তিক্যবাদী ধর্মবিদ্বেষী বর্ণবাদী সাম্প্রদায়িক অমানুষ। স্বজাতির গাদ্দার। যুগে যুগে দেশে দেশে এরা জন্ম নিয়ে জাতির সওদা করে এবং কাজ শেষে প্রভুরা তাদের ব্যবহৃত টয়লেট পেপারের মতোই ছুঁড়ে ফেলে দেয়।
পৃথিবীর ইতিহাসে জাতির গাদ্দারদের পরিণতির চ্যাপটারগুলো সবারই পড়া উচিত। এদেশেও দুটি পয়সার জন্য, বিদেশে বাড়ি, গাড়ি, ব্যবসা ও আশ্রয়ের জন্য কিছু লোক লাখো শহীদের আত্মত্যাগে অর্জিত জাতীয় পতাকা, জাতির পিতা, জন্মভূমি সবই বদলাতে রাজি হতে পারে। কারণ সামান্য স্বার্থে ওরা ওদের ঈমান ও দেশমাতৃকা বিক্রি করতে পারে। ওরা নিজেরা থাকে আপদমস্তক দুর্নীতি, মিথ্যাচার, গাদ্দারী ও দুইনম্বরীতে নিমজ্জিত। সকলের দোয়া করা উচিত, যেন বাংলাদেশে এমন কোনো হতভাগার অস্তিত্ব না থাকে। এমন কেউ যেন জন্মও না নেয়।
আলেম উলামাদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ বিশেষ করে ব্যবসা বাণিজ্য ও রাজনীতি করার সুযোগে অর্থ সম্পদ অর্জনকারী মানুষকেও বলবো, নিজের উপার্জন থেকে বেঁচে থাকতে মানুষের জন্য কিছু করুন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সম্পদ কেউ কবরে নিয়ে যাবে না। নিয়ে যাবে শুধু বদনাম। বদনাম হলেও এই ক্ষতি পুষানো যায় কিন্তু পরকালে জাহান্নামের আজাব বড়ই কঠিন। জাহান্নামে যাওয়া মানুষদের যখন জিজ্ঞেস করা হবে, কেন তুমি জাহান্নামে এসেছো? তখন তারা বলবে, আমরা আল্লাহকে বিশ্বাস করে নামাজ বন্দেগি করতাম না। আর অভাবী মানুষকে খাবার খেতে দিতাম না।
সুতরাং দুনিয়াতে আজ যারা দুর্নীতি করে, মজুদদারী করে, কৃত্রিম খাদ্য সঙ্কট তৈরি করে, সুযোগে মানুষের টাকা হাতিয়ে নিয়ে মারাত্মক পাপ ও অন্যায় করছে, আখেরাতে তারা এর কী জবাব দেবে। মৃত্যুর পর মানুষ বলবে, আল্লাহ আমাকে দুনিয়ায় আবার ফেরত পাঠান অথবা মৃত্যুর সময় হলে আজাব দেখা মাত্র আল্লাহকে বলবে, আল্লাহ আমাকে আর কিছুটা সময় দিন, আমি জমাকৃত সম্পদ দান সদকা করে আসি। খারাপ কাজ ছেড়ে ভালো মানুষ হয়ে আসি। কিন্তু তাদের এই সুযোগ আর দেওয়া হবে না। নির্দিষ্ট সময়েই প্রত্যেকের মরণ চলে আসবে। এক মুহূর্তও আগ পিছ করা হবে না। তওবা করে ও ধন সম্পদ প্রকৃত মালিকদের ফিরিয়ে দিয়ে না গেলে জাহান্নাম থেকে বাঁচার কোনো উপায় থাকবে না। কারণ, মানুষের হক আল্লাহও ক্ষমা করবেন না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।