পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রুপগঞ্জে সাধারণ মানুষের কাছে ভরসার নাম উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান ভুইয়া। করোনাকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে যখন জনপ্রতিনিধিদের চাল চুরি ও অনিয়মের সংবাদ প্রচার হচ্ছে। সেখানে তিনি নানা শারীরিক সমস্যা নিয়েও সাধারণ মানুষের কাছে থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এ কারণে তিনি সাধারণ মানুষের কাছে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবেও পরিচিতি লাভ করেছেন।
শাহজাহান ভুইয়া ১৯৮৩ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত টানা দুইবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের দুর্দিনেও তিনি মাঠে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেছেন। ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত তিনি টানা তিনবার উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, করোনাকালীন সময়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে ৬৪ হাজার ২২৮টি পরিবারকে ৭৭৮.৫০০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়। এছাড়া উপজেলা পরিষদের নিজস্ব অর্থায়নে চালের সঙ্গে তেল, ডাল, সাবান, লবণ, আলু ও ঈদসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এছাড়া বেসরকারিভাবে আরো ২৮ হাজার ১৪৩টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। দুস্থদের মাঝে শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়। সরকারিভাবে রূপগঞ্জ উপজেলায় করোনা আক্রান্তের এক হাজার ছাড়িয়ে গেছে। করোনা আক্রান্তে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। করোনার রেডজোন বিবেচনা করে উপজেলার রূপগঞ্জ ইউনিয়নকে লকডাউন করে জেলা প্রশাসন। লকডাউন কার্যকর করতে প্রশাসনের পাশপাশি তিনিও নিয়মিত লকডাউন এলাকায় টহল দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া লকডাউন এলাকায় ৯ হাজার দুস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাঈদ আল মামুন বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান ভুইয়া রূপগঞ্জের করোনা বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিচ্ছেন। করোনা সময়ে প্রশাসন ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশিও তিনিও মাঠে কাজ করে চলেছেন। রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার নমুনা সংগ্রহের সময় সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মমতাজ বেগম বলেন, করোনাকালীন সময়ে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান ভুইয়া প্রশাসনের পাশাপাশি অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। তিনি সার্বক্ষণিক মাঠে থেকে সাধারণ মানুষের পাশে ছিলেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান ভুইয়া বলেন, করোনাকালে শারীরিক সমস্যা নিয়েও সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছি। পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক) অসুস্থতার জন্য মাঠে এসে কাজ করতে পারছেন না, তাই আমি ঝুঁকি নিয়েও মানুষের পাশে রয়েছি। তিনি সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন। যতদিন বাঁচবো সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।