বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মাটিরাঙ্গা উপজেলা সংবাদদাতা : খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: তাজুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব লুৎফুন নাহার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, খাগড়াছড়ি সদর থানার মামলা নং ৩ (তারিখ ০৫.০১.২০১৫) ও ৪ (তারিখ ০৬.০১.২০১৫) এর অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হওয়ায় তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। আদালত কর্তৃক মো: তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গৃহীত হওয়ায় তার দ্বারা উপজেলা পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ জনস্বাথের্র পরিপন্থী মর্মে সরকার মনে করে। তাই উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮-এর ১৩খ(১) ধারা অনুসারে তাজুল ইসলামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারী জেলা শহরের ভাঙ্গাব্রীজ এলাকা থেকে গণতন্ত্র হত্যার প্রতিবাদে মিছিল বের করে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠন। মিছিলটি পেঙ্গুইন মোড়ে আসলে পুলিশ বাঁধা দিলে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এদিকে কিছু দূরে শাপলা চত্বরে জেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। সেখানে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ধাওয়া দিলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এই ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে সদ্য সাময়িক বহিষ্কৃৃত মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো; তাজুল ইসলাম বলেন, সাময়িক বহিষ্কারের কপিটি আমি হাতে পেয়েছি। যেহেতু সরকারের করা নতুন আইনে কোন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির নামে অভিযোগ থাকলে বরখাস্ত করার বিধান রয়েছে। তাই গণতন্ত্র হত্যা দিবসের ওই দুটি মামলায় অভিযোগ থাকায় আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আহামরি কিছু ভাবছেন না বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।