Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

‘স্যার আমি আত্মহত্যা করছি লাশটা এসে নিয়ে যাবেন’

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০২০, ১২:০২ এএম

গোয়ালন্দ ঘাট থানার সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন দোকানসহ ঘর নির্মাণ করে বসবাস করেন পাপন সাহা ও তার পরিবার। তবে থানা প্রাচীর ও পাপন সাহার জমি লাগোয়া হওয়ায় ঘরের টিন থানার ৬ ইঞ্চি ভিতরে ঢুকে যায়। এই অপরাধে গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে পাপন সাহাকে আটক করে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ। সারাদিন সেখানে আটক থাকার পর ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে থানায় মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান পাপন।
তবে বাড়ি ফিরে সারাদিন থানায় থাকার অপমান ও লজ্জার দহনে পুড়তে থাকেন তিনি। ওই দিনই রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে তার ব্যবহৃত মোবাইল থেকে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসিকে কল করে বলেন, ‘স্যার, আমি আত্মহত্যা করছি। আমার লাশটা আপনি এসে নিয়ে যাবেন।’ এ কথা বলেই পাপন তার ডান হাতে বৈদ্যুতিক তার জড়িয়ে নিজেই তাতে সংযোগ ঘটান। এ সময় বিদ্যুৎস্পর্শে তিনি গুরুতর আহত হন।
এ ঘটনায় গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মো. আশিকুর রহমান দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান। গুরুতর আহত পাপনকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিদ্যুৎস্পর্শে আহত পাপন সাহাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, তাকে থানা হেফাজতে রেখে মুচলেকা নিয়েই ছেড়ে দেয়া হয়। তার সাথে কোন প্রকার খারাপ আচরণ কেউ করেনি। তাকে শুধু বলা হয়েছে থানার বাউন্ডারী ওয়াল থেকে অন্তত এক ফুট দূরে স্থাপনা নির্মাণ করতে।
এদিকে একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে পাপনের মা পুষ্প সাহা এখন পাগলপ্রায়। তিনি বলেন, থানা থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে এসে আমার পাপন বারবার শুধু একই কথা বলছিল, পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে সারাদিন হাজতে আটকে রেখেছিল। এখন সবার সামনে আমি মুখ দেখাব কেমনে? থানা হাজতে আটকে রাখার অপমান সইতে না পেরে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আত্মহত্যা

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ