পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পদ্মা সেতুর রেল প্রকল্পের ঠিকাদার এরশাদ গ্রুপের কার্যালয়ে চাঁদা নিতে গিয়ে অস্ত্রসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ, চাঁদাবাজরা দীর্ঘদিন ধরে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল।
গতকাল তাদের ঢাকা মহানগর আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গত মঙ্গলবার রাজধানীর কাঠালবাগানে সোনারগাঁও রোডে নাসির ট্রেড সেন্টারে এরশাদ গ্রুপের অফিসে গিয়ে অস্ত্রবাজি, ভীতিপ্রদর্শন শুরু করেন চাঁদাবাজরা। পরে পুলিশ খবর পেয়ে তাদের গ্রেফতার করে। তারা হলো- মাকসুদ বাবুল মোল্লা (৪৫) ও আবু তালেব লালু (৩১)।
জানা গেছে, এরশাদ গ্রুপ পদ্মাসেতু প্রকল্পে দীর্ঘদিন ধরে পাথর সরবরাহ করছে। এছাড়া পদ্মাসেতুর রেল প্রকল্পের কাজ পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ রেলের জন্য দুবাই থেকে আমদানি করা পাথর আনা হয়েছে। গত ২ জুন কুতুবদিয়াতে বড় জাহাজে পাথর আনা হয়। সেখান থেকে ছোট লাইটার জাহাজে প্রকল্প এলাকাতে পাথর নেয়া হচ্ছে। তবে ২১টি লাইটার জাহাজ প্রকল্প এলাকা শরীয়তপুর জাজিরা পয়েন্টে নদীর ওপর প্রায় ২১ দিন যাবৎ ভাসমান অবস্থায় আছে। পাথর নামাতে গেলে কিছু লোকজন বাঁধা দিচ্ছে এবং ৫০ লাখ টাকা দাবি করছে।
কলাবাগান থানার ওসি পরিতোষ চন্দ্র বলেন, এরশাদ গ্রুপের চেয়ারম্যানের করা অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছে থাকা অস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজি ও অস্ত্রের মুখে জিম্মির চেষ্টা, ভীতিপ্রদর্শনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এরশাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান এরশাদ আলী বলেন, পদ্মা সেতুতে দীর্ঘদিন ধরে পাথর দিয়ে আসছি। বর্তমানে পদ্মা সেতুর রেল প্রকল্পের কাজ পেয়েছি। এই প্রকল্পের জন্য দুবাই থেকে আমদানি করা পাথর এনেছি। পাথর নামাতে গেলে কিছু লোকজন বাধা দিচ্ছেন। তারা বলছে, নামাতে হলে ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে। ওই ঘটনায় ৯ জুন জিডিও করেছি। এরপরও ফোনে চাঁদা দাবি করায় আমি বলি অফিসে আসেন টাকা দিয়ে দেব। গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শর্টগানসহ ৮ থেকে ১০ জন লোক ৮৯, বীর উত্তম সোনারগাঁও রোডের নাসির সেন্টারের তৃতীয় তলায় আমাদের অফিসে আসে। তখন আমি ছিলাম না। তারা আমাকে না পেয়ে অস্ত্র বের করে সবাইকে ভয় দেখায়। একজন অফিসার কলাবাগান থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে অস্ত্রসহ মাকসুদ ও তালেব নামের দু’জনকে আটক করে। অন্যরা পালিয়ে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।