নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজ পিছিয়ে যাওয়ার একদিন পরই নির্ধারিত হলো আরেকটি সিরিজের ভাগ্য। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এবার স্থগিত হয়ে গেল বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কা সফর। এ বছর বাংলাদেশের আর কোনো টেস্ট ম্যাচ বাকি থাকল না সূচিতে।
তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আগামী মাসে শ্রীলঙ্কা যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ দলের। ম্যাচ তিনটি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। গত কিছুদিনের ঘটনাপ্রবাহে অবশ্য এই সিরিজ পিছিয়ে যাওয়া ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এলো গতকাল।
শ্রীলঙ্কার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এখন বেশ নিয়ন্ত্রিত। তাই তারা বাংলাদেশকে সফরে পেতে ছিল মরিয়া। তিন টেস্ট থেকে কমিয়ে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে সিরিজ আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছিল তারা। বিসিবিও একটা পর্যায় পর্যন্ত আগ্রহী ছিল। কিন্তু বাংলাদেশে কোভিড-১৯ রোগের প্রকোপ বেড়েই চলেছে, ক্রিকেটারদের অনুশীলন শুরু করার অবস্থাই হয়নি এখনও। পরিস্থিতি অনুধাবন করে গতকাল শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি) আনুষ্ঠানিকভাবেই জানিয়ে দিয়েছে, তিন টেস্টের সিরিজটি আপাতত স্থগিত, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট এই বিষয়ে একমত হয়েছে যে, প‚র্বনির্ধারিত স‚চি অনুসারে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের শ্রীলঙ্কা সফর আগামী জুলাইতে অনুষ্ঠিত হবে না। স্থগিত হওয়া সিরিজটি পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে পরবর্তীতে মাঠে গড়াবে।’
তা ছাড়া শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটাররা যেখানে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা প্রায় চার মাস ক্রিকেটীয় কার্যক্রমের বাইরে। মানসিকভাবেও কেউ খেলার জন্য প্রস্তুত নয়। এই অবস্থায় আগামী মাসে সিরিজটি খেলা সম্ভব নয় বলে এসএলসিকে জানিয়েছে বিসিবি। প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘দলের প্রস্তুতি ও বর্তমান পরিস্থিতি একেবারেই অনুক‚লে নয়। আমাদের কিছু শীর্ষ খেলোয়াড়ও আক্রান্ত। তাদের পরিবার আক্রান্ত হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে আমাদের কাছে মনে হয়েছে খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিবেচনায় সময়টা সফর করার উপযুক্ত নয়।’
এর আগে করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর, যুক্তরাজ্য সফর, দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ। এ বছর নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ১০ টেস্ট খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু পাকিস্তান ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১টি করে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাই হয়ে থাকল সম্বল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।