বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়ে গেল রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের আরো একটি গ্রাম। তিস্তা নদীর ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া গ্রামটির নাম দক্ষিণ গাবুড়া।
গতকাল বুধবার দুপুরে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায় গ্রামের শেষ বাড়িটিও। গত ৭দিনের ভাঙনে প্রায় শতাধিক পরিবারের বসত বাড়ি ও আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় গ্রামটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়েছে দক্ষিণ গাবুড়া গ্রামের আজিম উদ্দিনের শেষ বাড়িটি। আজিম উদ্দিন তার ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছে অন্যত্র। কোথাও ভাঙনরোধে কোনো ব্যবস্থা লক্ষ করা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ গাবুড়া(মাঠের হাট) গ্রামটিতে গ্রামে প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবারের বসতি ছিল। গ্রামটি তিন বছর আগে ভাঙনের কবলে পড়ে।
এ গ্রামটির আগে চারটি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ছাওলা ইউনিয়নের শিবদেব চর, আমিন পাড়া, বৈরাগীপাড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের পাকা মসজিদ ও প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অসংখ্য স্থাপনাও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। শত শত একর আবাদি জমি চলে গেছে নদী গর্ভে। বাড়িঘর হারিয়ে ভাঙনের শিকার ব্যক্তিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। গরু-ছাগল নিয়ে বসবাসের জন্য একটু ঠাঁই খুঁজতে তারা এদিক-ওদিক ছুটে বেড়াচ্ছেন। অনেকের খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, দীর্ঘদিনের ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকরী কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রতিবছর তিস্তার ভাঙনের কবলে পড়ছে গ্রামগুলো।
আজিম উদ্দিন জানান, প্রায় এক মাস ধরে নদীভাঙন অব্যাহত রয়েছে। নদী সবকিছু কেড়ে নিয়ে তাদের সর্বস্বান্ত করে দিয়েছে। গৃহহারা হয়েছে কয়েক শ পরিবার। খেয়ে না খেয়ে কোনো রকমে জীবন পার করছেন। সালেহা বেগম বলেন, ‘কোথায় যাব কিছুই বুঝতে পারছি না। বর্তমানে আমরা নিঃস্ব। প্রতি বছরই নদী ভাঙছে, তারপরও ভাঙনরোধে সরকার কোনো ব্যবস্থাই নিল না। বাধ্য হয়ে নদীর মাঝে জেগে ওঠা চরে আবারও বসতি গড়তেছি। আমরা জানি আবারও নিশ্চিত ভাঙনের কবলে পড়বো।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বলেন, চলতি ভাঙনে দক্ষিণ গাবুড়া গ্রামে ৪০টি পরিবার ভাঙনের শিকার হয়েছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। পরিবারগুলোকে দ্রæত সহযোগিতা করা হবে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদি হাসান বলেন, দক্ষিণ গাবুড়া গ্রাম নদী ভাঙন কবলিত এলাকা। বরাদ্দ না থাকায় ভাঙন রোধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়নি। তবে ওই এলাকায় ভাঙন রোধে বরাদ্দের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।##২৪.০৬.২০২০
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।