Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভেড়া পালনের মাধ্যমে উৎকৃষ্ট মানের ও নিরাপদ মাংস যোগানের সম্ভাবনা রয়েছে- মেয়র লিটন

রাজশাহী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৮ জুন, ২০২০, ৪:৩৮ পিএম

ভেড়ার মডেল কসাইখানা, বরেন্দ্র ল্যাম্ব মিট বিক্রয়, বিক্রিত ভেড়ার অর্থ ও নতুন খামারীদের মাঝে ভেড়া বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ভেটেরিনারি ক্লিনিক, এ. আই এন্ড ট্রেনিং সেন্টার, নারিকেলবাড়ীয়া ক্যাম্পাস, ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থেকে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) অর্থায়নে রাবির ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সস বিভাগ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রথমে ফিতা কেটে ভেড়ার মডেল কসাইখানার উদ্বোধন এবং এরপর বরেন্দ্র ল্যাম্ব মিট বিক্রয়, বিক্রিত ভেড়ার অর্থ ও নতুন খামারীদের মাঝে ভেড়া বিতরণ করেন মেয়র। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, ভেড়ার মাংস ছাগলের মাংসের চেয়ে বেশি নিরাপদ ও পুষ্টিকর। ভেড়ার মাংসে গরু ও ছাগলের মাংসের চেয়ে চর্বি ও কোলেস্টেরল কম এবং আমিষের পরিমাণ বেশি। এছাড়া ভেড়ার মাংস অনেক উপকারী। ভেড়া পালনকারী খামারিদের উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে এটিকে একটি বিশেষ খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব।

মেয়র আরো বলেন, রাজশাহী কৃষিপ্রধান অঞ্চল। এই অঞ্চলে একটি পুর্নাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজন। এই দাবিটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবারো তুলে ধরবো।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সস বিভাগের অধ্যাপক ও I Validation of good practices of on-farm lamb production systems প্রকল্পের মুখ্য গবেষক, প্রফেসর ড. মোঃ জালাল উদ্দিন সরদার। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রান্তিক খামারীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের সাথে সাথে অধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ, নিরাপদ ভেড়ার মাংস (ল্যাম্ব মিট) সরবরাহের জন্য প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের কার্যক্রম শুরুর এক বছরেই এর সুফলে জনমনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ভেড়া পালনের মাধ্যমে উৎকৃষ্ট মানের ও নিরাপদ মাংস যোগানের সম্ভাবনা রয়েছে। ভেড়ার মাংসে ছাগল ও গরুর মাংসের চেয়ে প্রয়োজনীয় প্রায় সকল পুষ্টি উপাদান বেশী থাকায় সুস্বাস্থের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। তিনি আরো বলেন, প্রকল্পের অর্থয়নে পবা উপজেলার ২৯ জন খামারীকে ৩টি ক্যাটাগরীতে (৫টি, ১০টি ও ১৫টি) মোট ৩০০টি এবং গোদগাড়ী উপজেলায় ৩০ জন খামারীকে ৩০০টি ভেড়া সরবরাহ করা হয়েছে। নারিকেলবাড়ীয়াস্থ ক্যাম্পাসে ২০টি ভেড়া নিয়ে একটি মডেল খামারও স্থাপনা করা হয়েছে। প্রত্যেক খামারীকে প্রকল্পের অর্থয়নে স্বাস্থ্যসম্মত ভেড়া পালনের ঘরও নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। ভেড়া পালনের জন্য প্রয়োজনীয় আধুনিক ও বিজ্ঞান সম্মত ব্যবস্থাপনা হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়ার জন্য প্রত্যেক খামারীকে ভেড়া সরবরাহ করার পূর্বেই স্বল্প মেয়দী প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

প্রকল্পের কো-ইনভেস্টিগেটর ও রাবির ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগের চীফ ডেপুটী ভেটেরিনারি অফিসার ড. মো: হেমায়েতুল ইসলাম আরিফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসর ড. মোঃ আবুল হাশেম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস, কৃষিবিদ মো: ইসমাইল হক, গবেষক ডা. মো: নিয়ামতুল্ল্যা, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ড. আব্দুল্লা আল ফিরোজ প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মেয়র লিটন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ