মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ১২ লাখ বিদেশি কর্মী সউদী আরব ছাড়বে, যা বর্তমানে দেশটির শ্রমবাজারের ৯ শতাংশ। রিয়াদ ভিত্তিক জাদওয়া ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানির এক প্রোজেকশনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। তারা বলছে, সউদী নাগরিকদের জন্য চাকরি বাজার বড় করতে দেশটির সরকারের পরিকল্পনা ও করোনাভাইরাসের কারণে এটা ঘটবে। খবর ব্লুমবার্গ ও আল আরাবিয়ার।
তবে এত বিপুল সংখ্যক মানুষ সউদী ছাড়লেও দেশটিতে বেকারত্বের হার সহসাই কমবে না। বর্তমানে সউদী আরবে বেকারত্বের হার ১২ শতাংশ। জাদওয়া ইনভেস্টমেন্ট বলছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ এটা অপরিবর্তিত থাকবে।
সউদী গ্যাজেটের বরাত দিয়ে আল আরাবিয়া জানিয়েছে, এই কর্মীরা চলে যাওয়ার পর যেসব সেক্টর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সেগুলো হলো- হসপিটালিটি, ফুড সার্ভিসেস, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ এবং সাপোর্ট অ্যাকটিভিটিস, যার মধ্যে রয়েছে ভাড়া ও লিজ কর্মকাণ্ড, ট্রাভেল এজেন্সিস, সিকিউরিটি এবং বিল্ডিং সার্ভিস।
করোনাভাইরাস এবং জ্বালানি খাতে চলমান সঙ্কটের কারণে এত বিপুল সংখ্যক কর্মী সউদী ছাড়লে দেশটির অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। যদিও এক্ষেত্রে সউদী নাগরিকদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।
সৌদি গ্যাজেট বলছে, চতুর্থ ত্রৈমাসিকের সবচেয়ে বড় অগ্রগতির ফলে চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবসার সামগ্রিক পরিবেশে উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা করোনাভাইরাসের কারণে আর্থিক ক্ষতি সত্ত্বেও দেশটির নাগরিকদের কর্মসংস্থানের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বহু বছর ধরেই বিদেশি কর্মীদের পরিবর্তে নিজ দেশের নাগরিকদের নিয়োগ দিয়ে চাকরির বাজারকে ‘সৌদিকরণ’ করার চেষ্টা করছে সউদী সরকার। গত কয়েক বছর ধরে আর্থিক প্রয়োজনীয়তা এবং মনোভাবের পরিবর্তনের মাধ্যমে অনেকটাই সফল হয়েছে তারা। তাই এক সময় বিদেশি কর্মীদের আধিপত্য থাকা বিভিন্ন পদ যেমন- বারিস্তা, ডেলিভারিম্যান ও হোটেল রিসেপশনিস্টের মতো বিভিন্ন চাকরিতে সউদী নাগরিকদের উপস্থিতি বেশি পরিমাণে দেখা যাচ্ছে।
এদিকে চলতি বছর শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ৩ লাখ ২৩ হাজার বিদেশি কর্মী সউদী ছেড়েছে বলে জানিয়েছে জাদওয়া। সেক্ষেত্রে ট্রাভেল, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট সেক্টরের মতো বিভিন্ন খাত ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।