Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লিভিং ঈগল সাইফুল আজমের মৃত্যুতে ফিলিস্তিনেও শোকের ছায়া

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০২০, ২:২৭ পিএম

পৃথিবীর ২২ জন ‘লিভিং ঈগলের’ অন্যতম, বাংলাদেশের সাবেক সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রাক্তন চেয়ারম্যান গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) সাইফুল আজমের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে ফিলিস্তিনেও।
বাংলাদেশের এই বীর বৈমানিককে ইসরায়েল বিরোধী প্রতিরোধের অনুপ্রেরণা মনে করে ফিলিস্তিনিরা। ১৯৬৭ সালের ৬০ দিনের যুদ্ধে তিনিই একমাত্র বৈমানিক, যিনি চার চারটি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানকে ভূপাতিত করেন।
তার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন ফিলিস্তিনি ইতিহাসবিদ ওসামা আল আসগর। সাইফুল আজমকে মহান বৈমানিক আখ্যা দেন তিনি। ইসরায়েলের আগ্রাসন থেকে পবিত্র আল আকসা মসজিদ রক্ষায় ফিলিস্তিনিদের সহায়তা করায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের অবদান রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন আসগর। টুইটারে এক শোকবার্তায় ফিলিস্তিনি অধ্যাপক নাজি শুকরি লেখেন, "ফিলিস্তিনকে ভালোবাসতেন সাইফুল আজম, জেরুজালেমকে রক্ষার জন্য লড়াই করেছেন তিনি।" ফিলিস্তিনের প্রখ্যাত সাংবাদিক তামের আল মিশালও সাইফুল আজমের অসামান্য সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন।
১৯৬৭ সালের ৫ই জুন, জর্ডানের মাফরাক বিমানঘাঁটিতে হামলা করতে আসে ইসরায়েলের চারটি যুদ্ধবিমান। হামলা প্রতিহতের দায়িত্ব পান, সেসময় জর্ডান বিমানবাহিনীতে কর্মরত সাইফুল আজম। ইসরায়েলের দুইটি যুদ্ধবিমানকে ভূপাতিত করে একাই তাদের রুখে দেন তিনি। এর দুইদিন পর তিনি বদলি হয়ে যান ইরাকে, সেখানেও বিমানঘাঁটি রক্ষার দায়িত্ব পান তিনি। এসময় ইসরায়েলের আরো দুটি বিমান ভূপাতিত করেন তিনি। তার এই অবদানের জন্য জর্ডান ও ইরাক, দুই দেশই তাকে সামরিক পুরস্কারে ভূষিত করে। আর যুদ্ধবিমান চালনায় অসাধারণ দক্ষতাকে স্বীকৃতি দিয়ে ২০০১ সালে তাকে লিভিং ঈগল উপাধি দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
উল্লেখ্য, গত রোববার সকালে ঢাকার মহাখালিতে নিজ বাস ভবনে ইন্তেকাল করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। দীর্ঘদিন তিনি নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন। ১৯৪১ সালে পাবনা জেলার খগড়বাড়িয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সাইফুল আজম। উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পাশ করে ১৯৫৬ সালে উচ্চতর শিক্ষার্থে পশ্চিম পাকিস্তান যান। ১৯৬০ সালে জিডি পাইলট ব্রাঞ্চের একজন পাইলট হন তিনি।
১৯৭১ সালের পূর্বে তিনি পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যোগ দেন। পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় ১৯৬৭ সালের ৬ জুন তাকে ইরাকি বিমান বাহিনীতে বদলি করা হয়। বিমানঘাঁটি আক্রমণের সময় তিনি পশ্চিম ইরাকে ছিলেন। সূত্র: আল জাজিরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ