Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সীমান্ত খুলছে ইউরোপ, গ্রীষ্মকালীন পর্যটন শুরু

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০২০, ৫:১৭ পিএম

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দীর্ঘদিন ধরে জারি রাখা কঠোর লকডাউন থেকে ধীরে ধীরে বের হয়ে আসছে ইউরোপের দেশগুলো। গ্রীষ্মকালীন পর্যটন শুরু হওয়ায় ইতিমধ্যে জার্মানি, ফ্রান্স, ইটালির মতো দেশগুলো দেশের সীমান্ত খুলে দিয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে চিন্তাও বাড়ছে।

মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই ক্রমশ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে ইউরোপ। ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালির মতো দেশগুলিতে ধীরে ধীরে লকডাউন উঠেছে। ফ্রান্স নিজেকে ‘গ্রিন জোন’ বলে চিহ্নিত করেছে। করোনা কালে ইউরোপের অধিকাংশ দেশ নিজেদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিল। মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে তা-ও ধীরে ধীরে খুলে দেয়া হয়। তবে সোমবার তা সবার জন্য খুলে দেয়া হলো। অর্থাৎ, সীমান্ত পেরনোর সময় আর কোনও বাধার মুখে পড়তে হবে না সাধারণ মানুষকে।

গ্রীষ্মকাল শুরু হয়ে গিয়েছে ইউরোপে। এই সময় সব চেয়ে বেশি পর্যটক দেশ বিদেশে বেড়াতে যান। ইটালি, ফ্রান্সের মতো দেশে এই সময়টা অর্থনীতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ গ্রীষ্মকালীন পর্যটন ব্যবসায় বিপুল লাভ করে এই দেশগুলো। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, করোনা কালে ইউরোপে অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হয়েছিল। সে কথা মাথায় রেখেই আর সময় নষ্ট করা হয়নি। সীমান্ত খুলে দিয়ে পর্যটন বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। যাতে দ্রুত অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে পারে।

রোববার ফ্রান্সের সরকার জানিয়ে দিয়েছে, রেস্তোরাঁ, বার সব কিছুই খুলতে পারে আগের মতো। মে মাসের মধ্যবর্তী সময়ে বলা হয়েছিল, কেবলমাত্র খোলা আকাশের নীচেই খাবার দিতে পারবে রেস্তোরাঁগুলি। ঘরের ভিতর কাউকে বসতে দেয়া যাবে না। রোববার থেকে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে। খুলে দেয়া হয়েছে বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রও। তবে একই সঙ্গে প্রশাসনের তরফ থেকে মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে। সকলে যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলেন, সে দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যঁখো জানিয়েছেন, সতর্ক না থাকলে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আসতে পারে দেশে। তখন আবার সব কিছু বন্ধ করে দিতে হবে। এটা মাথায় রাখা দরকার।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে চিন্তিত জার্মানিও। চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল দেশবাসীকে এ বিষয়ে বার বার সতর্ক করেছেন। বস্তুত আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই জার্মানিতে একটি অ্যাপ চালু হয়ে যেতে পারে। অ্যাপটি ডাউনলোড করলে সকলে জানতে পারবেন কোনও করোনা আক্রান্তের সঙ্গে সংস্পর্শে তিনি এসেছেন কি না। জার্মানির বিভিন্ন পর্যটনস্থল নিয়েও উদ্বিগ্ন প্রশাসন। কারণ দেশ বিদেশ থেকে পর্যটকরা সেখানে এলে নতুন করে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। এবং একবার করোনা ছড়াতে শুরু করলে তাতে রাশ টানা মুশকিল। ফলে সীমান্তখুলে দিলেও, পর্যটনস্থল খুলে দিলেও পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে জার্মান প্রশাসন। চলতি মাসের ৪ তারিখে সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট ছোট ছোট দোকানগুলো খোলার অনুমোদন দেন। এছাড়া ২১ তারিখ থেকে সবাই আগের মত রাস্তায় চলাফেরা করতে পারবে বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে।

ইউরোপ যখন ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে, তখন ফের উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে চীন। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, সেখানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঢুকে পড়েছে। বেইজিংয়ের একটি অংশে নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার থেকেই তা কার্যকর হয়েছে। মাঝে চীনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ এর নীচে নেমে গিয়েছিল। রোববার ফের তার প্রায় ৬০ ছুঁয়ে ফেলে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, হঠাৎ করেই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। সতর্ক না হলে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করবে সংক্রমণ। সে কারণেই লকডাউনের সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে। সূত্র: রয়টার্স, ডিপিএ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউরোপ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ