Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ভয়াবহ সঙ্কটের মুখে বাশার আল আসাদ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০২০, ২:১১ পিএম

নানা সঙ্কটে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পতনের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে। তাদের দাবি, দেশে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভয়াবহ দুর্নীতি। এ জন্য বাশারের সবচেয়ে অনুগত সমর্থকরা এখন তার বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছেন। সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে ৯ বছর ধরে।

এ সময়ের মধ্যে এখন সেখানে খাদ্যের দাম অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। ফলে ২০১১ সালের আরব বসন্তের মতো বিক্ষোভ এ সপ্তাহে স্বোয়েডা শহরে দেখা দিয়েছে। দক্ষিণের এই শহরে টানা কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ হচ্ছে। সেখান থেকে প্রেসিডেন্ট বাশারের পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে।

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, আমরা বাঁচতে চাই না। তবে মরতে চাই মর্যাদার সঙ্গে। যে ব্যক্তি তার দেশবাসীকে অভুক্ত রাখেন তিনি বিশ্বাসঘাতক। আজ শনিবার আরো বিক্ষোভ হওয়ার কথা রয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গার্ডিয়ান।

বর্তমানে নানামুখী লড়াইয়ের মুখে আসাদ। এর মধ্যে রয়েছে করোনা ভাইরাসের হুমকি। সিরিয়ার সবচেয়ে ধনী তার কাজিন রামি মাখলুফের সঙ্গে শত্রুতা। মস্কো ও তেহরানের সমর্থকদের স্বার্থ রক্ষায় সমতা রক্ষা করা। তবে, ঘরের পাশেই লেবাননে যে আর্থিক টালমাটাল অবস্থা চলছে সেই সমস্যা এখন সবচেয়ে বড় আসাদের জন্য। কারণ, সিরিয়ার অর্থনীতি একেবারে মিইয়ে যাওয়া থেকে রক্ষায় সহায়তা করেছে এই দেশটি। এরই মধ্যে সিরিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে অবরোধ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তা কার্যকর হবে আগামী সপ্তাহ থেকে। ফলে সিরিয়ার অর্থনীতি একেবারে শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দেখা দেবে আরো অস্থিরতা।

সাম্প্রতিক সময়ে এমনিতেই দেশটির মুদ্রার মান একেবারে তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে। কালো বাজারে সেখানে এক ডলারের দাম এ সপ্তাহে রেকর্ড ৩৫০০ পাউন্ডে গিয়ে পৌঁছে। বছরের শুরুতে এক ডলারের দাম ছিল ৭০০ পাউন্ড। সেকানে জীবনধারণের খরচ অস্বাভাবিক বেড়েছে। আটা, চিনি, চাল ও ওষুধের মতো মৌলিক সেবার জিনিসগুলো পাওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে। বর্তমানে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে দেশটির শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশি মানুষ। অন্যদিকে শাসকগোষ্ঠীর সন্তানরা তাদের স্পোর্টস কার, স্বর্ণালঙ্কার ও প্রযুক্তিগত গ্যাজেট প্রদর্শন করছে ইন্সটাগ্রামে।

জনক্ষোভ প্রশমিত করার চেষ্টা হিসেবে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ইমাদ খামিসকে বরখাস্ত করেছেন বাশার আল আসাদ। তা সত্ত্বেও আসাদের শক্ত ঘাঁটিগুলোর অন্যতম উপকূলীয় শহর লাতাকিয়ার মানুষ শাসকগোষ্ঠীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে সমালোচনা জোরালো করেছে। সম্প্রতি সরকারি নীতির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সমালোচনা করছেন এমপি, ব্যবসায়ী নেতারা ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

অধিকারকর্মী শোয়েব রিফাই বলেছেন, যখন আপনার সন্তান ক্ষুধার্ত থাকে, তখন আপনি কোনো শক্তিধর ব্যক্তির কথা ভাববেন না। আপনি তখন ভাববেন না রাশিয়া কি চায়। ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি তখন আপনাকে বিচলিত করবে না। তখন আপনি ওই ব্যক্তিকে দায়ী করবেন, যিনি চার্জে আছেন। এখন আমি সেটা প্রতিদিনই দেখতে পাচ্ছি। গড়পরতায় সরকারের অনুগ৯ত এমন ব্যক্তিরাও এখন কথা বলা শুরু করেছেন। আসাদের সবচয়ে বড় ঝুঁকি হলো পুতিন কি চান, ইরান কি চায়, সে বিষয়ে আর আমলে না নেয়া। এখন বিষয়টি হলো তার নিজের দেশবাসীর, যারা একটি প্রেসার কুকারের ওপর বসে আছেন।



 

Show all comments
  • jack ali ১৩ জুন, ২০২০, ৫:১৪ পিএম says : 0
    May Allah [SWT] wipe out Barbarian Basher Al Asad and his associates by cornoa virus and bring peace in Syria. Amen
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিরিয়া

১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ