গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় চলাচল নিয়ন্ত্রণে কঠোর হওয়ার চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু এরপরও ‘বিশেষ প্রয়োজনের’ কথা বলে অনেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেছেন। উপযুক্ত কারণ না থাকায় তাদের অনেককে ফেরত যেতে হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার তৃতীয় দিনের মতো লকডাউন ছিল ফার্মগেট সংলগ্ন এই এলাকাটি। সরেজমিন দেখা যায়, পূর্ব রাজাবাজার থেকে কেউ বের হতে বা প্রবেশ করতে পারছেন না। পুলিশ বলছে, আগের দুই দিন এলাকাবাসী বের হওয়ার চেষ্টা করলেও তাদের ফিরিয়ে দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। এ কাজে সহযোগিতা করছেন ৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক। এতে প্রবেশ বা বের হওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা না করে লকডাউন মানতে এলাকাবাসী অনেকটাই অভ্যস্ত হচ্ছেন।
পূর্ব রাজাবাজার এলাকার চারদিক ঘুরে দেখা গিয়েছে, বাইরে বের হওয়ার তেমন কোনও চেষ্টা ছিল না এলাকাবাসীর মধ্যে। এরপরও ‘বিশেষ প্রয়োজনের’ কথা বলে অনেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেছেন। উপযুক্ত কারণ না থাকায় অনেককে ফেরত যেতে হয়েছে। এদিকে এলাকাবাসীর সুবিধার্থে বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজারের ভ্যান এলাকায় প্রবেশ করেছে। ভ্যানগুলো এলাকাটির মধ্যে প্রতিটি গলিতে ঘুরতে থাকবে। এলাকাবাসী প্রয়োজনীয় পণ্য সেখান থেকে কিনতে পারবেন। এদিকে গতকাল থেকে যারা (সাংবাদিক, ডাক্তার ও নার্স) এলাকাটিতে প্রবেশ করবেন ও বের হবেন, তাদের আইবিএ হোস্টেলের পাশে খোলা থাকা জরুরি গেটটিতে নাম পরিচয় লিখিয়ে যেতে হবে বলে নিয়ম করে দেয়া হয়েছে।
বর্তমান লকডাউন পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সেখানে কর্তব্যরত শেরেবাংলা নগর থানার সাব-ইন্সপেক্টর ওয়াজেদ বলেন, পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এলাকাবাসী লকডাউন মানতে অভ্যস্ত হচ্ছেন। তারা বুঝে গেছেন, কোনোভাবেই এলাকা থেকে বের বা প্রবেশ হওয়া যাবে না। এরপরও কিছু কিছু মানুষ বের হওয়ার চেষ্টা করেন। উপযুক্ত কারণ মনে না হওয়ায় তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এ এলাকায় বসবাসকারী সংবাদকর্মী, ডাক্তার ও নার্সরা প্রবেশ এবং বের হতে পারবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।