মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দক্ষিণ কোরিয়া থেকে উত্তর কোরিয়া বিরোধী লিফলেট ছড়ানোর কারণে দক্ষিণের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। তাদের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে এরই মধ্যে ফোনালাপ বন্ধ করে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। মঙ্গলবার বিকেল থেকে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিচ্ছে তারা। এমনকি দুই কোরীয় শীর্ষ নেতার মধ্যে টেলিফোন হটলাইনও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার দেশত্যাগীদের বেলুনে করে লিফলেট পাঠানো বন্ধে সিউলের ব্যর্থতায় কিম জং উনের বোন কিম জো ইয়ং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। উত্তর কোরিয়া বলেছে, মঙ্গলবার থেকে তারা প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ রাখবে না।
দক্ষিণ কোরিয়াকে ‘শত্রু’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে উত্তর কোরিয়া বলেছে, তারা যেসব পদক্ষেপ নিতে চলেছে এটা তার প্রথম ধাপ। দুই দেশের মধ্যে লিয়াজো রক্ষার জন্য উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত শহর কায়েসংয়ে যে অফিস খোলা হয়েছিল তাও আজ দুপুর থেকে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। নিজেদের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমন ও আলাপ-আলোচনার জন্য ২০১৮ সালে এই অফিসটি খোলা হয়েছিল।
উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া কার্যত এখনো যুদ্ধের ময়দানই রয়েছে, কেননা ১৯৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধ হলেও দুই দেশের মধ্যে কোনো শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি।
উত্তর কোরিয়া জানায়, দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যেও সব ধরনের যোগাযোগের চ্যানেল বন্ধ করে দেবে তারা। নভেল করোনাভাইরাসের কারণে জানুয়ারি থেকে লিয়াজো অফিস বন্ধ থাকার কারণে মাঝের সময়টাতে টেলিফোনে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করা হতো।
গতকাল সোমবার দুই দেশের মধ্যে সর্বশেষ ফোনে যোগাযোগ হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, ২১ মাসের মধ্যে এদিনই প্রথম ফোন করে তারা। যদিও সকাল ৯টার ফোনের উত্তর আসেনি, বিকাল ৫টায় যোগাযোগ স্থাপিত হয়।
উত্তর কোরিয়ার পক্ষে কেসিএনএ বলে, ‘আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, দক্ষিণ কোরীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনার কোনো প্রয়োজন নেই, এমনকি আলোচনার কোনো বিষয়ও নেই, কেননা তারা শুধুই আমাদের আতঙ্ক জাগ্রত করে।’
কিছু দলত্যাগী উত্তর কোরিয়ানই নিজ দেশের কমিউনিস্ট সরকারের সমালোচনা করে লিফলেট ভর্তি ব্যালুন ও অন্যান্য জিনিস পাঠায়, যা উত্তর কোরিয়ার মানুষকে বিপথে পরিচালিত করে বলে অভিযোগ। উত্তর কোরীয় নাগরিকরা সংবাদ পান শুধুই রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রত সংবাদ মাধ্যম থেকে। সেখানের নাগরিকদের অধিকাংশেরই ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ নেই।
২০১৮ সালে দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্কে খানিকটা উন্নতি হয়, ওই সময় দুই নেতা তিনবার বৈঠক করেন। তবে গত বছর হ্যানয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কিম জং-উনের আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর সিউলের সঙ্গে কার্যত সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় পিয়ংইয়ং। এবার তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল।
সম্প্রতি সিউল জানায়, সীমান্ত দিয়ে দেশত্যাগী উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদের বেলুনে করে লিফলেট পাঠানো বন্ধে কঠোর উদ্যোগ নিয়েছে তারা। যদিও তারা ব্যর্থ বলে মত দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। সূত্র: বিবিসি ও আল জাজিরা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।