মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কিম পরিবারের শাসনকালে বহু বিতর্কিত নির্দেশের সাক্ষী থেকেছেন উত্তর কোরিয়ার নাগরিকরা। এবার নাগরিকদের জন্য নতুন ফরমান জারি করলেন একনায়ক কিম জং উন। উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতার নির্দেশ, বাড়ি অপরিষ্কার রাখলেই হবে জরিমানা, এমনকী যেতে হতে পারে জেলেও।
গত মে মাসে একনায়কদের উপর ‘মাই ফেভারিট ডিকটেটরস’ নামের একটি বই প্রকাশ করেন গবেষক ক্রিস মাইকুল। ওই বইয়ে তিনি দাবি করেছেন, পিয়ংইয়ংয়ের নির্দেশ মতে বাড়ির বসার ঘরে দেশের প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল-সাং-এর বড় ছবি বাধ্যতামূলকভাবে নাগরিকদের রাখতে হয়। এবং সেই ছবি এবং তার আশপাশ নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হয়। কিম জং উনের বাবা কিম-জং-ইল-এর শাসনেই এই নিয়ম জারি হয়েছিল উত্তর কোরিয়ায়। বর্তমানে কোরিয়ার কিমের সময়ও রাজধানী পিয়ংইয়ং ও অন্য এলাকায় নাগরিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ‘স্বচ্ছতা পরিদর্শন’ করেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। বাড়ি পরিছন্ন না থাকলে তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই জরিমানা এমনকী জেলের সাজাও হতে পারে। এমনটাই নির্দেশ কিমের।
উত্তর কোরিয়ায় এমন আজব আইন নতুন কিছু নয়। এর আগেও বহুবার বহু বিতর্কিত আইন এনে বিশ্বমঞ্চে চঞ্চল্য ফেলে দিয়েছে কিম পরিবার। সে দেশে ‘সুপ্রিম লিডারে’র নির্দেশই শেষ কথা। ফলে অপরিচ্ছন্নতার দায়ে হাজতবাস হলেও তা নিয়ে নাগরিকদের প্রতিবাদ করার বড় একটা জায়গা বা সুযোগ কোনওটাই নেই।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে বাজেটের ৬০ শতাংশ টাকা দেশের ধনীদের পকেট থেকেই তোলার ব্যবস্থা করেছেন কিম। এর জন্য বিশেষ বন্ড ‘ডনজু’ চালু করেছে পিয়ংইয়ং। ধনীদের বাধ্যতামূলকভাবে সেই বন্ড কিনতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। বিশ্লেষকদের মতে, লকডাউনের জেরে উৎপাদন কমে যাওয়ায় রাজকোষে বিপুল চাপ পড়েছে পিয়ংইয়ংয়ের। ফলে রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে ধোনি ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের ডনজু বন্ড ক্রয় করার নির্দেশ দিয়েছেন কিম। ফলে তার কাছ থেকে আরও আজব নির্দেশ এলেও অবাক হবার কিছু নেই বলেই মনে করছেন গবেষক ক্রিস মিকুল।
ক্রিস মাইকুল বইতে কিম জং উনের পাশাপাশি তার বাবা ও দাদার স্বৈরাচারিতারও পরিচয় দিয়েছেন। উল্লেখ করেছেন, কীভাবে বনিবনা না হওয়ায় ৩০০ জন সরকারি কর্মকর্তাকে হত্যা করিয়েছেন কিম জং উন। ওই কর্মকর্তারা তাকে দেশের শাসনের জন্য ‘অপরিণত’ মনে করেছিলেন বলে অভিযোগ। মাইকুল জানিয়েছেন, শাসকের স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত প্রণনয় ও রূপায়ণে উত্তর কোরিয়ায় রয়েছে বিশেষ মন্ত্রণালয়ও। দেশের প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সাং-এর সময়ে এই মন্ত্রণালয়ের মাথা ছিলেন কিম জং উনের বাবা কিম জং ইল। বর্তমানে ওই মন্ত্রণালয়ের কাজকর্ম নিজে দেখাশোনা করেন কিম জং উন। সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।