পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, মহামারীর মধ্যেও সরকার দুর্নীতিতে মগ্ন রয়েছে। স্বাস্থ্যখাতকে লুটপাটের আখড়ায় বানিয়েছে। ভেন্টিলেটর, আইসিইউ, অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতালের বেড আর করোনা আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসা সুবিধা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ এই সরকার। গত দু’সপ্তাহ যাবত আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। অপরিনামদর্শী ও ভুল সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সরকার সমগ্র দেশে করোনা ভাইরাসের চাষাবাদ বাড়াচ্ছে।
গতকাল রোববার নয়াপল্টনে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে- হাসপাতাগুলোতে ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট,স্বাস্থ্য সরঞ্জাম, পিপিই সঙ্কটে করোনায় আক্রান্তদের সেবা দিতে পারছেন না চিকিৎসকরা। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ‘করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জরুরি সহায়তা’ প্রকল্পটির আওতায় এক লাখ সেফটি গগলস কেনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সেখানে ৫০০ থেকে এক হাজার টাকার গগলসের দাম ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা। মোট খরচ ধরা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। এই প্রকল্পেই আওতায় মোট এক লাখ সাত হাজার ৬০০ পিপিই কেনা হবে। প্রতিটির জন্য খরচ ধরা হয়েছে চার হাজার ৭০০ টাকা। পিপিই কেনায় মোট খরচ হবে ৫০ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, বর্তমান বাজারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সব শর্ত মেনে ওষুধ অধিদফতরের সব শর্ত অনুসরণ করে বিভিন্ন কোম্পানির তৈরি ভালো মানের পিপিই বিক্রি হচ্ছে এক থেকে দুই হাজার টাকায়। এই প্রকল্পের আওতায় ৭৬ হাজার ৬০০ জোড়া বুট জুতা কেনা হবে। প্রতিটি জুতা’র খরচ দেখানো হয়েছে এক হাজার ৫০০ টাকা। এই খাতে খরচ ধরা হয়েছে ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অথচ বর্তমান বাজার মূল্যে প্রতিটি বুট জুতা কেনা যাচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়। এই মহামারীর মহাদুর্দিনেও সাগরচুরির মহা উল্লাসে ওরা মেতে উঠেছে।
রিজভী বলেন, ত্রাণ চুরি, চাল চুরি, খাতা চুরি, বালিশ চুরি এমনকি করোনা চিকিৎসার সরঞ্জাম কিনতেও চুরি আর দুর্নীতি। অপ্রিয় সত্য হলো একটি ভেন্টিলেটরের জন্য হাহাকার চলছে। হাসপাতালগুলোতে করোনা আক্রান্ত মানুষের জায়গা মিলছে না। প্রায় প্রতিদিনই দেশের গণমাধ্যমগুলোতে খবর বেরুচ্ছে, এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ঘুরতে ঘুরতে পথিমধ্যেই মারা যাচ্ছে মানুষ। করোনা আক্রান্ত কিংবা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় যেসব পরিসংখ্যান প্রতিদিন সরকারের পক্ষ থেকে প্রচার করা হচ্ছে, প্রকৃত পরিস্থিতি তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি খারাপ। প্রণোদনা নেয়ার পর পোশাক শিল্পে ছাটাইয়ের ঘোষণা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।