পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়ে গেছে। মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় একশ’। উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুও থেমে নেই। গতকাল রোববার করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আরো দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ব্যাপক সংক্রমণের মধ্যেও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত না হওয়ায় উদ্বেগ-শঙ্কায় সাধারণ মানুষ। হাসপাতালে ঠাঁই নেই। চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা।
এদিকে আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬৯ শতাংশই কর্মক্ষম মানুষ। মৃত্যুহারেও তারা এগিয়ে থাকায় সর্বত্র শঙ্কা বিরাজ করছে। সিভিল সার্জনের হিসাবে দেখা যায় গতকাল পর্যন্ত আক্রান্তদের সর্বোচ্চ ২৭ শতাংশের বয়স ৩১-৪০ বছর। আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ৬১ জন। আক্রান্তের হারে এরপরে আছেন ২১-৩০ বছর বয়সীরা। আক্রান্ত ৯৪৯ জন, যা মোট আক্রান্তের ২৪ শতাংশ। ৪১-৫০ বয়সী আক্রান্ত ৬৯৬ জন, মোট আক্রান্তের ১৮ শতাংশ। ২১-৫০ বছর বয়সী আক্রান্তদের ৬৯ শতাংশ। ষাটোর্ধ্ব আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩৭ জন, যা মোট আক্রান্তের ৮শতাংশ। শিশু-কিশোরদের আক্রান্তের হার ৯ শতাংশ।
চিকিৎসকেরা বলছেন, সামাজিক সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন কর্মক্ষম মানুষ। কারণ তারা ঘরের বাইরে যাচ্ছেন। সে তুলনায় বৃদ্ধরা কিছুটা নিরাপদ আছেন। আবার আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি। এ পর্যন্ত আক্রান্ত ২ হাজার ৯৬৮ জন পুরুষ, আর মহিলার সংখ্যা ৯৯৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মহানগরীর বাসিন্দা ৭৩ শতাংশ এবং বাকি ২৭ শতাংশ উপজেলার।
এদিকে করোনা টেস্টেও এখনও গতি আসেনি। নগরীতে একাধিক নমুনা সংগ্রহ বুথ খোলা হয়েছে। গতকাল নগরীর চান্দগাঁও এবং বিবিরহাটে আরও দুটি বুথ উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। নমুনা সংগ্রহ বাড়লেও ফলাফল পেতে সপ্তাহ পার হয়ে যাচ্ছে। অনেকের মৃত্যুর পর রিপোর্ট আসছে। করোনা ল্যাবগুলোতে নমুনার পাহাড়জমে আছে। কিটসহ সরঞ্জামের সঙ্কটও আছে।
সরকারি হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বাড়লেও সেখানে রোগীর চাপে কোন শয্যা খালী নেই। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ছাড়া বেসরকারি হাসপাতালে এখনও চিকিৎসা শুরু হয়নি। এতে রোগীর মৃত্যু বাড়ছে। গতকাল জেনারেল হাসপাতালে আয়াজ (৫৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে শনিবার হাসপাতালে ভর্তি হন। তার বাসা নগরীর চান্দগাঁও এলাকায়। একই হাসপাতালে উপসর্গ নিয়ে মারা যান চিত্ত রঞ্জন (৬৫) নামে আরও একজন। নগরীর কোতোয়ালীর এ বাসিন্দা শুক্রবার হাসপাতালে ভর্তি হন। সীতাকুন্ডে উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া এসআই একরামুল ইসলামের (৪৫) নমুনায় করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। এনিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৯৮ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।