Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজধানী এখন কর্মচঞ্চল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০২০, ১২:০০ এএম

করোনার ভয়াবহতা ঠেকাতে দেশকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যেই কক্সবাজার রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এখন রাজধানীর পুরান ঢাকার ওয়ারী ও ধানমন্ডির রাজাবাজার এলাকাকে রেড জোন ঘোষণার প্রস্তুতি চলছে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মিডিয়া দ্য ইকোনোমিস্ট বাংলাদেশের আইসিডিডিআরবি’র বরাত দিয়ে এক খবরে বলেছে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ইতোমধ্যে সাড়ে ৭ লাখ ছাড়িয়েছে। এই যখন অবস্থা তখন রাজধানী হয়ে পড়েছে কর্মচঞ্চল।

৬৬ দিনের ছুটি শেষ হওয়ার পর গত ৩১ মে থেকে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। গণপরিবহণ চালু হওয়ায় ঢাকামুখী মানুষের সংখ্যা ক্রমাম্বয়ে বাড়ছে। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটিয়ে আবার ব্যস্ত নগরীতে ফিরে এসেছেন কর্মজীবী মানুষরা। ফলে আবারও কর্মচঞ্চল হয়ে উঠছে রাজধানী ঢাকা। গতকাল রাজধানীর ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এই চিত্র পাওয়া যায়।
রাজধানীতে প্রবেশের বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, বাসে-ট্রেনে আবার কেউ কেউ ফিরছেন লঞ্চে। সকাল থেকেই কমলাপুর রেলস্টেশন ও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে কর্মজীবী মানুষকে দলে দলে ফিরতে দেখা যায়। তবে বাসে ফেরত যাত্রীদের সংখ্যা ছিল কম। আর বাস ও ট্রেনের তুলনায় লঞ্চের যাত্রী ছিল মোটামুটি বেশি। নৌপথে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা, স্বাস্থ্যবিধি মানার অনেক প্রচারণা চালানো হলেও বাস্তবে লঞ্চে গাদাগাদি করেই যাত্রী আসা-যাওয়া করছেন।
বরিশাল থেকে লঞ্চে করে ঢাকায় ফিরেছেন মো. আলফাজ হোসেন। ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠানের এই কর্মকর্তা বলেন, এবার বেশ কয়েকদিন গ্রামের বাড়িতে ছুটি কাটিয়েছি। রোববার (আজ) অফিসে জয়েন করতে হবে। এ কারণে পরিবার নিয়ে আজই (গতকাল) ঢাকায় চলে এসেছি।
দেখা গেল লঞ্চঘাটে কার্যত যাত্রীদের ব্যাপক ভিড়। তাড়াহুড়ো এবং হুড়োহুড়ি করতে দেখা গেছে অনেককেই। অনেকেই আবার জটলা পাকিয়ে অপেক্ষা করেছেন। চলাচলে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না বেশিরভাগ যাত্রী। অনেকের মুখেই নেই মাস্ক।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইব্লিউটিএ) জানায়, জীবানুমুক্ত টানেলের ভেতর দিয়ে যাত্রীদের টার্মিনালে প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেয়া হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাতে চিহ্নিত করে দেয়া হয়েছে আসন।
সড়কে সীমিত আকারে গণপরিবহণ চলাচলের ফলে ফিরতি যাত্রায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মানুষকে। ঢাকায় প্রবেশে বিভিন্ন রুটে চলাচলের জন্য গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। তবে থেমে নেই ফেরার পালা। এ প্রসঙ্গে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের এসআর পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার বলেন, অফিস খুলে দেয়ায় রাজধানীতে মানুষের ফেরার চাপ আছে। তবে রাজধানী ছাড়ছে খুব কম মানুষই। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ।
রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন আর বাস টার্মিনালগুলোই নয়, সর্বত্রই মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। মার্কেট, বিপণি বিতান, ব্যাংক-বিমা অফিস, ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মানুষের কর্মচঞ্চল্যতা বেড়ে গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাজধানী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ