Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নেই সাজানো হচ্ছে পর্যটন রাজধানী কক্সবাজার

বিশ্ব পর্যটন দিবসের সভায় বক্তারা

কক্সবাজার ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

অক্টোবর মাস থেকে শুরু হচ্ছে পর্যটন মৌসুম। দীর্ঘ লকডাউনের পর এবারের পর্যটম মৌসুমকে ঘিরে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে পর্যটন রাজধানী কক্সবাজার। কক্সবাজারকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নে সাজানো হচ্ছে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শ্রাবস্তী রায় বলেছেন, কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাই বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কক্সবাজারকে সাজানো হচ্ছে। ইতোমেধ্য কক্সবাজারে তিন লাখ কোটি টাকারও বেশি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে। যা এক বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে সরকারের মোট বরাদ্দ দেয়া অর্থের দেড় গুণ। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে কক্সবাজারই হবে বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন নগরী এবং অন্যতম অর্থনৈতিক অঞ্চল।

গতকাল সোমবার সকালে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কক্সবাজার সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে থেকে বের হওয়া বর্ণিল শোভাযাত্রা প্রধান সড়ক পদক্ষিণ করে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। পরে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শ্রাবস্তী রায়ের সভাপতিত্বে পর্যটন দিবসের অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী এ.কে.এম তারিকুল আলম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু সুফিয়ান, হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার, পর্যটন করপোরেশনের জিএম মোস্তাফিজুর রহমান, ট্যুর অপারেটরস্ এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) এর ফাউন্ডার চেয়ারম্যান এম.এ হাসিব বাদল ও সভাপতি আনোয়ার কামাল। এতে বিভিন্ন হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস, ট্যুর অপারেটরস্ এসোশিয়েশন, কিটকট মালিক সমিতি, ঝিনুক-হকার ব্যবসায়সায়ীসহ পর্যটনসেবী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। অনুষ্ঠান শেষে সৈকতে আগত পর্যটকদের ফুল দিয়ে পর্যটন দিবসের শুভেচ্ছা জানান সংশ্লিষ্টরা। বিকালে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে আলোক প্রোজ্জ্বলন, ফানুস উড়ানো ও আতশবাজির আয়োজন হয়।
জেলা প্রশাসনের পর্যটন ও প্রটৌকল শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার সৈয়দ মুরাদ ইসলাম বলেন, পর্যটন দিবসের লক্ষ্য হলো, বিশ্ববাসীকে পর্যটনের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করা। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও জাতীয় অর্থনীতিতে পর্যটনের অবদান সম্পর্কে অবহিত করা। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হলো- ‘অন্তভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে পর্যটন।
কক্সবাজার বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মামুনুর রশীদ বলেন, পর্যটন একটি সম্ভাবনাময় শিল্প। কক্সবাজারকে ঘিরে পর্যটন শিল্পের বিকাশে কাজ করছে সরকার। পরিকল্পিতভাবে এগুতে পারলে পর্যটনই হবে দেশের আগামী অর্থনীতির চালিকা শক্তি। আমরা সেভাবেই এগুনোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পর্যটন রাজধানী কক্সবাজার
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ