পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের যত্রতত্র ছেয়ে আছে নির্বাচনী পোস্টারে। নির্বাচনের চার দিন পার হয়ে গেলেও এখনো অপসারণ হয়নি পোস্টার, ব্যানার। এসব পোস্টার নগরীর কিছু কিছু এলাকায় এতটাই সাঁটানো হয়েছে যে, ঐসব এলাকার সড়ক ও অলি-গুলিগুলোও ঠিকমত চেনার আবস্থা নেই। বিশেষ করে যেসব প্রতিষ্ঠানে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, তার আশপাশের সড়ক ও স্থাপনাগুলোর অবস্থা বেশি খারাপ। পোস্টারগুলো ছিঁড়ে পড়ে সেখানকার সড়ক ও পরিবেশ নোংরা হচ্ছে। সড়ক থেকে এসব পোস্টার ড্রেন-ম্যানহোলেও ঢুকছে। এসব পোস্টার অপসারণে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি গ্রহণ কারা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন গত মঙ্গলবার থেকে এসব পোস্টার অপসারণের কাজ শুরু করেন। যা গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এই কার্যক্রম শুরু করেন গত বুধবার থেকে যা আজ শুক্রবার শেষ হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা গেছে, রাজধানীর মুগদা, মানিকনগর, যাত্রাবাড়ি, দয়াগঞ্জ, চকবাজার, মৌলভীবাজার, মিটফোর্ড এলাকায় নির্বাচনী এসব পোস্টারে ছেয়ে আছে। অলিগলিগুলোতে তাকালে কেবলই চোখে পড়ে আওয়ামী লীগের এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের পোস্টার। কোনোটি রশিতে ঝুলছে, কোনোটি রশি ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে আছে। রাস্তায়ও পড়ে আছে পোস্টার। প্রায় একই অবস্থা দেখা গেছে মোহাম্মদপুর, কল্যাণপু, মিরপুরের মাজার রোডের দু’পাশের অলিগলিসহ প্রধান সড়কে। এসব এলাকায় আওয়ামী লীগের এমপি সাদেক খান ও আসলামুল হক আসলামের পোস্টারের কোনো অভাব নেই। গাবতলী টার্মিনাল ও বাড্ডা-কালাচাঁদপুর এলাকায়ও দেখা গেছে একই চিত্র। এমনকি ভিআইপি সড়কসহ রাজধানীর প্রধান সড়ক ও ভিআইপি এলাকায়ও ঝুলছে নির্বাচনী পোস্টার। এসবের বেশিরভাগই নৌকা প্রতীকের। এ ছাড়া লাঙ্গল, হাতপাখা, কাস্তে প্রতীকের পোস্টারও রয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অতিরিক্ত বর্জ্য প্রধান খন্দকার মিল্লাতুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, গত বুধবার সকালে রাজধানীর পুরান ঢাকার সুরিটোলা থেকে পোস্টার-ব্যানার অপসারণে বিশেষ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, আমরা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডে এই কার্যক্রম একসাথে শুরু করেছি। প্রতিটি ওয়াডেই পোস্টার ব্যানার অপসারনের কাজ এগিয়ে চলছে। আমাদের হাতে এখনো ২৪ ঘণ্টা বাকি আছে। আশা করি এই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা দক্ষিণ সিটিকে নির্বচনী পোস্টার, ব্যানার মুক্ত করতে পারবো।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ভারপ্রাপ্ত মেয়র জামাল মোস্তফা বলেন, আমরা গত মঙ্গবার থেকে পোস্টার-ব্যানার অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেছি। এসব পোস্টার-ব্যানার অপসারণে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি। সে নির্দেশ মতে গত মঙ্গলবার সকাল থেকেই ডিএনসিসি ব্যানার-পোস্টার অপসারণের কাজ শুরু করেছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে উত্তর সিটি এলাকা এসব পোস্টার ব্যানার অনেকটাই মুক্ত হয়ে গেছে। যদি কোন এলাকায় এখনো এসব পোস্টার ব্যানর দেখা যায় বা থেকে থাকে সেগুলোও আপসারণ করা হবে।
নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুসারে প্রার্থীরা কে কী সংখ্যক পোস্টার ছাপাবেন, হলফনামায় তা উল্লেখ করে থাকেন তারা। কিন্তু বাস্তবে অনেকেই তা অনুসরণ করেন না। সব সময় দেখা যায় তারা যা উল্লেখ করেন তার থেকে আরও বহুগুন পোস্টার সাঁটিয়ে থাকেন তারা। অনেক সময় প্রার্থীর অনুগতরাও ব্যক্তিগত উদ্যোগে পোস্টার টাঙিয়ে থাকেন। আবার কেবল রশিতে ঝোলানোর নিয়ম থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে পোস্টারগুলো দেয়ালে, বিদ্যুতের খুঁটি, গাছের ঢালেও লাগিয়ে থাকেন। এসব পোস্টার আঠা দিয়ে সাঁটানোর কারণে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের তুলতেও বেগ পেতে হয়।
দুই কর্পোরেশন থেকেই জানানো হয়েছে, যেসব পোস্টার ব্যানার রশি দিয়ে টাঙ্গানো হয়েছে সেসব পোস্টা অপসারণ করতে বেশি সময় লাগছে না। আর যে সব পোস্টার দেয়ালে কিংবা স্থাপনায় আঠা দিয়ে সাঁটানো হয়েছে সেগুলো অপসারন করতে সময় লগছে বেশি। তাই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব পোস্টার অপসারণ সম্ভব না হলেও আগামী দু’য়েক দিনের মধ্যেই ঢাকাকে পোস্টার মুক্ত করা সম্ভব হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।