মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আগামী ১৫ জুনের মধ্যেই ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে সীমান্ত খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইইউর হোম অ্যাফেয়ার্স কমিশনার ইউলভা জোহানসন ইউরোনিউজকে এমনটাই বলেছেন। ইটালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করেন, সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে সেই দিনটি হবে ইউরোপের পর্যটন শিল্পের ‘ডি-ডে’।
১৯৪৪ সালের ৬ জুন হিটলারের নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে একযোগে হামলা চালিয়েছিল মিত্রবাহিনী। ইতিহাসে সেই দিনটি ‘ডি-ডে’ হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ইটালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুইজি ডি মাইয়ো বলেছেন, ১৫ জুন থেকে জার্মানি ইউরোপের ৩১টি দেশের সঙ্গে সীমান্ত খুলে দিলে দিনটি ইউরোপের পর্যটন শিল্পের জন্য ‘ডি-ডে'-র মতোই হবে।
ইউরোপের সরকারগুলো নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে নিচ্ছে যে কখন ও কীভাবে সীমান্ত খুলে দেয়া যায়। এ নিয়ে গতকাল ইউরোপের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে এক ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
ইউনিয়ন কমিশনার জোহানসন বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা এমন একটা পর্যায়ে চলে এসেছি যখন অভ্যন্তরীণ সীমান্ত নিষেধাজ্ঞা ও সকল প্রকার তল্লাশির কার্যক্রম তুলে নেয়া উচিত। আমি প্রস্তাব করব যেন সব সদস্য দেশ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অভ্যন্তরীণ সীমান্ত খুলে দেয়।’
কমিশনার জানান, এই অঞ্চলের দেশগুলো সহযোগিতার ভিত্তিতে আলোচনা করে সীমান্ত খুলে দেবে এবং গত মাসে এ ব্যাপারে কিছু সুপারিশমালাও এসেছে।
কমিশনার জানান, দেশগুলো অবশ্যই মানুষের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ও মহামারীতে আর্থিক ক্ষতির মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে এবং ইউনিয়নের নির্দেশনা মেনে চলবে। দেশগুলো দ্রুত সীমান্ত খুলে দেয়ার দিকে এগোচ্ছে বলে তিনি বেশ খুশি।
তিনি জানান, সম্প্রতি ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিস প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল (ইসিডিসি) সীমান্ত বন্ধ রাখার বিপক্ষে মত দিয়েছে। ইসিডিসি মনে করছে, সীমান্ত বন্ধ রাখলে অর্থনৈতিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’ জোহানসন আরো বলেন, ‘এসব আমলে নিয়ে আমার মনে হয়, এখন সীমান্ত খুলে দেয়ার সময় এসেছে।’
ইতালি গত সপ্তাহে সীমান্ত খুলে দিয়েছে, তাদের অনুসরণ করে জুনের মধ্যেই সীমান্ত খুলে দিতে যাচ্ছে এই ব্লকের অন্য দেশগুলোও। ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জার্মানি, গ্রিস, অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ডস ও চেক রিপাবলিক মধ্য জুনেই সীমান্ত খুলে দেয়ার পরিকল্পনা করছে। শুধু স্পেনই আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলবে জুলাই মাসে।
কিছু দেশ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত সব দেশের পর্যটকদেরই স্বাগত জানাবে। কিছু দেশ আবার সেসব দেশের পর্যটকদেরই স্বাগত জানাবে যেসব দেশে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি অপেক্ষাকৃত কম। আর এমন কয়েকটি দেশ রয়েছে যেখানে প্রবেশ করতে গেলে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে আসা নাগরিকদের করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করাতে হবে।
যেহেতু যুক্তরাজ্য এখন আর ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে নেই, তাই ব্রিটিশ নাগরিকদের ইউরোপের অধিকাংশ দেশে সহজে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে না। এদিকে আগামী ৮ জুন থেকে যারা যুক্তরাজ্যে যাবেন তাদের বাধ্যতামূলকভাবে দুই সপ্তাহের জন্য সঙ্গনিরোধ অবস্থায় থাকতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।