পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দীর্ঘদিনের সাধারণ ছুটি শেষে আগের রূপে ফিরতে শুরু করেছে রাজধানী ঢাকা। খুলতে শুরু করেছে অফিস, ঘর থেকে বের হয়েছেন চাকরিজীবীসহ সাধারণ মানুষ। কর্মচাঞ্চল্য বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীতে বাড়ছে সাধারণ মানুষের চলাচল। গত কয়েকদিন ধরেই ঢাকামুখি মানুষের ঢল বেড়েছে। বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল এবং রেল স্টেশনে মানুষ আর মানুষ। বেড়েছে মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যাও। ঢাকার প্রবেশপথ দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন ঢুকছে ঢাকায়। এতে করে ঢাকার উত্তরাসহ গাবতলী ও যাত্রাবাড়ীতে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। করোনা পরিস্থিতিতে ভিড়ের মধ্যে ঝুঁকি নিয়েই কাজ করছেন তারা।
গত রোববার (৩১ মে) থেকে এই সাধারণ ছুটির শেষের দিনেই সরকারি অফিস, ব্যাংকসহ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চালু হয়েছে লঞ্চ, ট্রেন। শুধুমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাদ রেখে গত সোমবার থেকে পূর্ণদমে বাস চলাচলসহ গণপরিবহন চালু হওয়ার পাশাপাশি সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্য চালু হচ্ছে। করোনা আতঙ্ক নিয়েই আগের ব্যস্ততায় ফিরছে ঢাকা।
গত কয়েক দিন ধরেই রাজধানীর বাস, লঞ্চ টার্মিনাল ও রেলস্টেশনে মানুষের ভিড় ক্রমেই বাড়ছে। ৩১ মে লঞ্চ চালু হওয়ার পর থেকেই প্রতিটি লঞ্চ যাত্রীবোঝাই করে ঢাকায় আসছে। একই দিন ট্রেন চালু হওয়ার পরদিন থেকে ট্রেনেও যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। গতকাল বুধবার এই ভিড় ছিল আগের তুলনায় অনেক বেশি। কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, শত শত যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে গাদাগাদি করেই প্লাটফরম থেকে বের হয়ে আসছেন। ভিড়ের মধ্যে শারিরিক দূরত্ব বলে কিছুই বজায় থাকছে না। আলাপকালে রাজশাহী থেকে আসা একজন যাত্রী বলেন, ট্রেনের ব্যবস্থাপনা ভালো। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ট্রেন চলছে জেনে পরিবার পরিজন নিয়ে সাহস করে ট্রেনে এলাম। কিন্তু কমলাপুর স্টেশনে নেমে হতাশ হলাম। স্টেশনের পরিবেশ স্বাস্থ্য সম্মত নয়। যাত্রীরা গাদাগাদি করে হাঁটছে। এতে আগে যে সব নিয়ম মানা হয়েছিল সবই ভেস্তে গেল।
অন্যদিকে, মহাসড়কগুলোতে যানবাহনের ভিড় প্রতিনিয়ত বাড়ছে। যানবাহনের ভিড়ে ঢাকার প্রবেশপথে যানজট লেগেই আছে। বিশেষ করে উত্তরার আব্দুলপুর, গাবতলী ও যাত্রাবাড়ীতে যানজট লেগেই থাকছে। যানবাহনের ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ।
এসবের বাইরেও ঢাকায় মানুষের বিচরণ বেড়েছে। মতিঝিল, ফার্মগেট, কাওরানবাজার, বনানী, মহাখালী, গুলশান, মিরপুর এবং উত্তরা এলাকার বিভিন্ন সড়কের মোড় এবং প্রধান পয়েন্টগুলোতে তাই দেখা যায় মানুষের ভিড়। ফুটপাতে হকাররা বসতে শুরু করেছে। গুলিস্তানের হকারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কাজের সন্ধানে প্রতিদিনই মানুষ ঢাকায় আসছে। রিকশাচালক থেকে শুরু করে হকার, শ্রমজীবী, ভিক্ষুক সবাই এখন ঢাকামুখি। এ কারণে প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে।
এদিকে, বড় বড় কিছু শপিংমল এখনও বন্ধ থাকলেও অনেক এলাকাতেই এখন ফুটপাতে পসরা সাজাতে দেখা যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের। বাদ নেই পাড়া মহল্লার অলিগলিও। সীমিত পরিসর বা শারীরিক দূরত্ব; মানা হোক বা না হোক, এলাকার মুদি দোকান, চায়ের দোকানগুলো ফিরে যাচ্ছে নিজেদের আড্ডাস্থলের রূপে। চায়ের কাপে ঝড় উঠছে করোনা পরিস্থিতি নিয়েই। সন্ধ্যার মাঝেই বাড়ি প্রবেশ করার তাগিদ না থাকায় মধ্যরাত পর্যন্তও অনেক স্থানেই মানুষের জটলা দেখা যায়।
এদিকে গণপরিবহণ চালু হুওয়ায় বেড়েছে ‘মাস কমিউটিং ক্যাপাসিটি’ বা বহু মানুষের চলাচলের সক্ষমতা। পরিবহনের অভাবে এতদিন যারা ঘর থেকে বের হননি তারাও এখন বাইরে বের হচ্ছেন। একই সঙ্গে আন্তঃজেলা বাস, ট্রেন ও লঞ্চ চালু হওয়ায় রাজধানীর বাইরে থেকে আসা মানুষদের চাপও বাড়ছে কয়েক শতাব্দী পুরোনো এই শহরের ওপর। সবমিলিয়ে রাজধানীর ভেতরে বিভিন্ন এলাকায় এবং রাজধানীর ভেতরে-বাইরে সব জেলাকে কেন্দ্র করেই রাজধানীতে বাড়ছে সাধারণ মানুষের চলাচল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।