বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দীর্ঘ প্রায় দুই মাস পর কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্ত সাপেক্ষে চালু হয়েছে ভোলার সাথে রাজধানীসহ দেশের মূল ভূখন্ডের লঞ্চ চলাচল। এতে গন্তব্যে যেতে পারার আনন্দ বিরাজ করছে যাত্রীদের মধ্যে। তবে অধিকাংশ যাত্রী সতর্কতা অবলম্বন না করায় করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও করছেন অনেকেই। অনেক যাত্রীই মানছেনা কোন স্বাস্থ্যবিধি। অপরদিকে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ঘাট ছাড়ছে লঞ্চ। ফলে বিপাকে পড়েছেন আগে থেকে টিকিট কেটে রাখা অসংখ্য যাত্রী।
ভোলার সাথে রাজধানীর যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে নৌপথ। দীর্ঘ ৬৭ দিন বন্ধ থাকার পর রবিবার সকালে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে দিনের প্রথম সার্ভিস ছেড়ে যায় এ্যাডভেঞ্চার-৫। ৬০০জন যাত্রীর ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন সার্ভিসের করোনাকালে সরকার নির্ধারিত ৩০০ জন যাত্রী নিতে পারবে। সকাল সাড়ে ৮টায় ভোলার ইলিশা ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা এ্যাডভ্যাঞ্চার কোম্পানির একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ। কিন্তু ৭টা ২০ মিনিটেই অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি ঘাট ছেড়ে যায়। ফলে আগে যারা ওই লঞ্চের টিকিট কিনেছিলেন তারা ঘাটে এসে বিপাকে পড়েছেন।
যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, ঈদের আগে অনেক কষ্ট করে অধিক ভাড়া গুনে পরিবারের সাথে ঈদ করার জন্য বাড়ী আসছিলাম। এখন অফিস খোলাতে আবার রাজধানীতে ফিরে যাচ্ছি। তবে ঘাটে এসে দেখলাম এ্যাডভেঞ্চার-৫ ঘাটে সিন্ডিকেট করে বেশি দামে টিকেট বিক্রি করে যাত্রী তুলেছে। কিন্তু যারা আগে টিকেট কেটেছে তাদের না নিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগে ছেড়ে চলে যায়। এতে চরম দুভোর্গের মধ্যে পড়ে প্রায় অর্ধশতাধিক যাত্রী। এই ঘটনায় এ্যাডভেঞ্চার-৫ ম্যানেজার এনামুল হক সবুজ যাত্রীদের দুভোর্গ লাগব না করে ফোন বন্ধ করে ঘাট ত্যাগ করে। এতে যাত্রীরা এ্যাডভেঞ্চার-৫ ক্ষোভ প্রকাশ করে বিক্ষোভ মিছিল করে। অন্যদিকে ভোলা থেকে ভোলা সদর,লালমোহন সহ বিভিন্ন ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চগুলোরও একই চিত্র সেখানেও যাত্রীরা সরকারী বিধি না মেনেই চলাচল করার অভিযোগ জনসাধারনের।তবে লঞ্চকতৃপক্ষ বলছে তাদের নির্দেশ জনসাধারনে মানছেনা।তাই তারা বাধ্য হয়েই নির্ধারিত এসময়ের পূর্বেই ঘাট ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।
এদিকে যাত্রীদের মধ্যে করোনা প্রতিরোধে সতর্কতা অবলম্বন করতে দেখা যায়নি। অনেক যাত্রীই ছিলেন মাস্ক ছাড়া। আবার কেউ কেউ মাস্ক পড়লেও তা ছিল থুতনিতে লাগানো। লঞ্চ কর্তৃপক্ষকেও কোন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। তারা স্প্রে কিংবা দূরত্ব বজায় রেখে যাত্রীদেরকে লঞ্চে উঠার কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। যার ফলে একজনের সাথে আরেকজন ঠেলাঠেলি করে লঞ্চে উঠেছে।
তবে বিআইডব্লিউটিএ ভোলা নদী বন্দর সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান বলেন, লঞ্চগুলোকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহন করতে হবে। কেউ তা না মানলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।