Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভোলায় আকস্মিক টর্নেডোর আঘাতে কয়েক শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত

ভোলা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ মে, ২০২০, ৪:৪৩ পিএম

ভোলা জেলার লালমোহন,তজুমুদ্দিন,চরফ্যাশন, মনপুরায় উপজেলায় গতকাল ২৭ মে রাত ১০ টার পর হঠাৎ টর্নেডোর আঘাতে কয়েক শতাধীক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে, করোনা ভাইরাসের মধ্যে উপকূলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলো দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। একদিকে করোনা অাতঙ্ক অন্যদিকে টর্নেডোর কারনে ঘড়বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় অনেকে খোলা অাকাশের নীচে রয়েছে।তাই কিভাবে ঘুরে দাঁড়াবেন তা নিয়ে তারা চিন্তিত।
লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের চৌমুহনীর রায়চাঁদ বাজার ও কর্তারহাট এলাকার ৪০/৫০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
লডহার্ডিঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জানান, ঝড়ে পেয়ারি মোহন, অন্নদা প্রসাদ ও ফাতেমাবাদ এলাকার ১৫/২০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়টি অনেক শক্তিশালী ছিল।পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নে প্রায় অর্ধশতাধিক ঘড়বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
এদিকে চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী অফিস সুত্রে জানান, রাতের ঝড়ে নুরাবাদ ও নীলকমল এলাকার কিছু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে।
এদিকে,লালমোহনের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে তাদের পাশে দাড়িয়ে পরিবারকে খাদ্য সহায়তা ও নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছেন ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন।তিনি বলেন গতরাত ১০ টার সময় টর্নেডোর অাঘাতে লালমোহনে ঘড়বাড়ি, গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান রুমি জানান উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে শতাধিক ঘড়বাড়ি সহ ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।এমপি মহোদয় সহ ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় গিয়েছি।ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে।জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। তজুমুদ্দিন এক গনমাধ্যম কর্মী ও স্কুল শিক্ষক জানান সিবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের টিনের চাল বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে। তবে এ উপজেলা সামান্য গাছপালার ক্ষতি হয়েছে।মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্রদাস বলেন,হঠাৎ,ঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ীর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বিধ্বস্ত ঘরবাড়ীগুলো সরজমিনে পরিদর্শন করেছি। শতাধীক ঘড়বাড়ি ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে আলাপ করে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ২০ কেজি চাউল দেওয়ার ব্যাবস্থা করেছি। সম্পুর্ন বিধ্বস্ত ঘরগুলোর জন্য নগদ টাকা ও টিনের ব্যাব্যস্থা করা হয়েছে। এইসব টিন ও নগদ টাকা দ্রুত বিতরন করা হবে। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদেরকে সম্পুর্ন বিধ্বস্ত ও আংশিক ক্ষগ্রিস্ত ঘরগুলোর তালিকা জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টর্নেডো

২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ