মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
একদিকে চীনের সাথে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে চলছে উত্তেজনা। অন্যদিকে ক্ষুদ্র রাষ্ট্র নেপালও ছেড়ে কথা বলছে না। কালাপানি ও লিপুলেখ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই দুদেশের মধ্যে চাপা উত্তেজনা ছিল। এর মধ্যেই প্রয়োজনে যুদ্ধ হবে বলে ভারতকে হুঁশিয়ার করল নেপাল।
কালাপানিতে ভারতের রাস্তা তৈরি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল নেপাল। তাদের দাবি, ওই ভূখণ্ড নেপালের অন্তর্গত। এর পর নেপালের রাজনৈতিক মহলে কিছু নেতা ভারতবিরোধী স্লোগান দিতে শুরু করেন। এরই মধ্যে কালাপানি ও লিপুলেখকে নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করে নেপাল। তার পর থেকেই উত্তেজনা চরমে। নেপাল ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে। সত্যিই কি ভারতের মতো পরমাণু শক্তিধর দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সামর্থ রয়েছে নেপালের?
সম্প্রতি ‘দ্য রাইসিং নেপাল’ পত্রিকাকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন নেপালের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ঈশ্বর পোখরেল। কালাপানি সীমান্তে দু’দেশের মধ্যে চলা বিবাদ নিয়ে পোখরেল বলেন, ‘ভারতীয় সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে নেপালের গোর্খাদের ভাবাবেগে আঘাত হেনেছেন। ভারতের জন্য বহু বলিদান দিয়েছেন গোর্খারা। কিন্তু তৃতীয় কোনও শক্তির প্ররোচনায় আমরা কালাপানি সীমান্তে বিবাদ করছি বলে যে অভিযোগ করেছেন ভারতের সেনাপ্রধান তা নিন্দনীয়। প্রয়োজনে নেপালি ফৌজ যুদ্ধ করবে।’ শুধু তাই নয়, ভারতীয় সেনা কর্মরত গোর্খাদের উসকানি দিতে পোখরেল আরও বলেন, ‘ভারতের জন্য যে গোর্খা সৈনিকরা প্রাণের আহুতি দিয়েছেন তাদের ভাবাবেগে আঘাত করেছেন জেনারেল নারাভানে। ভারতীয় সেনপ্রধানের এহেন মন্তব্যে ভারতীয় সেনার গোর্খা জওয়ানরা স্বজাতির কাছে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবেন না।’
ব্রিটিশ আমল থেকেই ভারতীয় সেনায় সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে আসছেন গোর্খা জওয়ানরা। বর্তমানে ভারতের ফৌজে প্রায় ৪০টি গোর্খা ব্যাটালিয়ন রয়েছে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই মানস সরোবর পর্যন্ত তীর্থযাত্রা আরও সুগম করতে ভারতের তৈরি নয়া সড়ক নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নেপাল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ভিডিও লিংকের মাধ্যমে উত্তরাখণ্ড থেকে লিপুলেখ পাস পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার লম্বা একটি সড়কের উদ্বোধন করেন। এই রাস্তা নিয়েই আপত্তি জানায় নেপাল। আর নেপালের এমন আচরণের নেপথ্যে রয়েছে চীন। সরাসরি নাম না করে এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। সংবাদমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে সেনাপ্রধান সাফ জানিয়েছিলেন, ভারত ও নেপালের মধ্যে গোলমাল বাধানোর চেষ্টা করছে অন্য এক শক্তি। পরোক্ষে তিনি যে চীনের দিকেই আঙুল তুলছেন তা স্পষ্ট। সূত্র: দ্য ওয়্যার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।