মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তুরুস্কের সহযোগিতায় লিবিয়ায় সরকারি বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে এবার পিছু হটল হাফতারের পক্ষে যুদ্ধ করার একটি গ্রুপ।
রাশিয়ার বেসরকারি সামরিক সংস্থা ওয়াগনার গ্রুপের দেড় হাজার ভাড়াটে সৈন্য লিবিয়া থেকে ফিরে গেছে । এই ভাড়াটে যোদ্ধারা লিবিয়ায় যুদ্ধ করছিলে জেনারেল খলিফা হাফতার বাহিনীর হয়ে। সরকারি বাহিনীর পাল্টা আক্রমনের পর সোমবার তাদের লিবিয়ার যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সরিয়ে নিয়েছে ওয়াগনার গ্রুপ। রাজধানী ত্রিপোলি দখলে মরিয়া হয়ে ওঠা সামরিক কমান্ডার জেনারেল হাফতারের জন্য এটি একটি বড় ধাক্কা।
গত এক বছর ধরে হাফতার বাহিনী লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি দখলের জন্য অভিযান চালাচ্ছে। কিন্ত এবার তাদের কড়া জবাব দিতে শুরু করেছে জাতিসংঘ সমর্থিত ত্রিপোলি ভিত্তিক ঐক্য সরকারের বাহিনী। হামলায় গত কয়েকদিন অনেকটা পিছু হটতে হয়েছে হাফতার বাহিনীকে। পরিস্থিতি খারাপ দেখেই ওয়াগনার গ্রুপ তাদের যোদ্ধাদের ফিরিয়ে নিয়েছে বলে জানা গেছে।
টুইটারে সরকার সমর্থিত বাহিনীর পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, একটি অ্যান্তোনোভ থাটি টু মিলিটারি কার্গো বিমান দক্ষিণ লিবিয়ার বানি ওয়ালিদ বিমান বন্দরে আসে। বিমানটি রুশ ভাড়াটে যোদ্ধাদের নিয়ে চলে যায়। তবে তারা কোথায় গেছে সেটি নিশ্চত হওয়া যায়নি।
এই দফায় ১৫০০ থেকে ১৬০০ ভাড়াটে যোদ্ধা লিবিয়া ত্যাগ করেছে বলে জানিয়েছে সরকারপন্থী বাহিনী। তারা বলছে, আগের দিন মোট সাতটি কার্গো বিমান লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় বানি ওয়ালিদ শহরে অবতরণ করেছে। যেগুলোতে হাফতার বাহিনীর জন্য অস্ত্রশস্ত্র আনা হয়েছে এবং ভাড়াটে যোদ্ধাদের ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে।
লিবিয়া ভিত্তিক আল আহরার টেলিভিশনে একটি ভিডিও প্রচারিত হয়েছে যাতে দেখা গেছে, বেশ কিছু সশস্ত্র যোদ্ধা অ্যান্তানভ বিমানে উঠছে। এই ঘটনা হাফতার বাহিনী ও তার বিদেশী পৃষ্ঠপোষকদের জন্য একটি বড় আঘাত বলে আলজাজিরা খবরে বলা হয়েছে।
লিবিয়ায় যে রুশ মার্সেনারি বা ভাড়াটে যোদ্ধা আছে সেটি অনেকদিন ধরেই কূটনীতিক ও সাংবাদিকরা বলে আসছেন। অনেক ছবিতে তার প্রমাণও পাওয়া গেছে ইতিপূর্বে। ফাঁস হওয়া জাতিসঙ্ঘের একটি গোপন নথিতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার বেসরকারি সামরিক সংস্থা ওয়াগনার গ্রুপ অন্তত ১২০০ যোদ্ধাকে হাফতার বাহিনীর পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য মোতায়েন করেছে লিবিয়ায়। গ্রুপটির যোদ্ধাদের অস্ত্র ও অন্যান্য সামগ্রী দেখে এটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। সাধারণত রাশিয়ার সামরিক বাহিনী এই ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাপী অনেকগুলো সিকিউরিটি কন্ট্রাক্টর বা বেসরকারি সামরিক সংস্থা আছে যারা বিভিন্ন যুদ্ধে টাকার বিনিময়ে লড়াই করে। ওয়াগনার গ্রুপ তেমনই একটি প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্রের ‘দ্য একাডেমি’ও এরকম একটি বিখ্যাত সংস্থা। এসব সংস্থা নিজেরা লোক সংগ্রহ করে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়। এরপর বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাদের যুদ্ধ করতে পাঠায়। আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র প্রচুর ভাড়াটে যোদ্ধা পাঠিয়েছিল বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
রাশিয়ার ওয়াগনার গ্রুপ দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের খুব কাছের বলে অভিযোগ আছে। যদিও রুশ সরকার সব সময়ই তা অস্বীকার করে আসছে। আলজাজিরা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।