Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান লিবিয়ার খলিফা হাফতারের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০২০, ২:২৩ পিএম

তুরস্ক ও রাশিয়ার দেওয়া যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন লিবিয়ার বিদ্রোহী সামরিক কমান্ডার খলিফা হাফতার। মুখপাত্র আহমেদ আল মাসমারির পাঠ করা এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার তিনি দাবি করেন, কেবলমাত্র ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিনাশ’ এবং ‘রাজধানী ত্রিপোলি দখল করে রাখা মিলিশিয়াদের’ পরাজিত করার মাধ্যমেই দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার পুনর্জাগরণ ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হতে পারে।
রাজধানী লিবিয়ার দখল নিতে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে গত বছরের এপ্রিল থেকে অভিযান শুরু করেছে হাফতারের বাহিনী। জাতিসংঘের হিসেবে এই অভিযানে অন্তত এক হাজার মানুষ নিহত ও অপর অন্তত ৫ হাজার আহত হয়েছে। গত বুধবার ইস্তানবুলে বৈঠকের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন লিবিয়ার দুই পক্ষকেই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। ত্রিপোলির জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার এই আহ্বানকে স্বাগত জানায়।
তবে বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করে তুরস্ক ও রাশিয়ার যুদ্ধবিরতির আহ্বানের জবাব দেয় হাফতার বাহিনী। বাহিনীর মুখপাত্র আহমেদ আল মাসমারি বলেন, ‘আমরা (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির) পুতিনের যুদ্ধবিরতির আহ্বানকে স্বাগত জানাই। তবে ত্রিপোলি দখল করে রাখা সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ... শেষ পর্যন্ত চলবে’।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের সহিংসতা আর বিভক্তিতে জর্জরিত হয়ে আছে লিবিয়া। গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে দেশটিতে সক্রিয় রয়েছে দুটি সরকার। এর মধ্যে রাজধানী ত্রিপোলি থেকে পরিচালিত সরকারকে সমর্থন দিয়েছে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বড় অংশ। আর দেশটির পূর্বাঞ্চল থেকে পরিচালিত জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন অপর সরকারটিকে সমর্থন দিচ্ছে মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, সৌদি আরব,ও ফ্রান্স। 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লিবিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ