পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঈদের চাঁদ দেখা দেওয়ার পর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গান-‘ওমন রমজানের ওই রোযার শেষে এল খুশির ঈদ’ রেডিও, টেলিভিশনে সম্প্রচার শুরু হওয়া মানে চাঁদ রাতেই ঈদের খুশি, আনন্দ শুরু হওয়া। পরস্পরর সঙ্গে সাক্ষাৎে, ফোনে ঈদের শুভেচ্ছা বিতরণ শুরু। যুগ যুগ ধরে এমনটা হয়ে আসছে বাংলাদেশে। হাল আমলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক হারে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়ে থাকে। এবারও চাঁদ দেখা যাওয়ার পর রেডিও টেলিভিশনে গানটি বেজেছে। কিন্তু, প্রসন্ন প্রফুল্ল চিত্তে এবার ঘরে ঘরে কণ্ঠে বাজছে না অন্তরে ধারণ করা নজরুলের সেই গান। অদৃশ্য করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী মহামারি দেখা দেওয়ায় ঘরবন্দি জীবনে উৎসবে যেন সেই প্রাণটাই আজ বড় শুকনো, বিবর্ণ। তারপরও আজ মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসবের দিন।
চিরায়ত উদযাপনের যে ধারা দেড় হাজার বছর ধরে প্রচলিত, তা এ বছরে পুরোপুরি বিপরীত। বিশ্ব মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এই ঈদে উদযাপন হচ্ছে সীমিত আকারে, ঈদের জামাত হয়েছে মসজিদে। সরকারের পক্ষ থেকে জোর দিয়েই বলা হয়েছে, মহামারিকালের এই ঈদে কোলাকুলি থেকে বিরত থাকতে হবে। বাইরে না গিয়ে ঘরে থেকে পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে কাটাতে হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর।
ঈদের আনন্দ সবাই ভাগাভাগি করে উপভোগ করেন। কিন্তু, ঘরবন্দি জীবনে এবার না যাওয়া যাচ্ছে প্রতিবেশী বা আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে, না হচ্ছে তাদের আমন্ত্রণ করা।
ওদিকে, করোনাভাইরাসের পাশাপাশি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আম্পান ঝড়ের তা-বেও ঘরবাড়ি হারিয়ে ঈদের আনন্দ হারিয়ে ফেলেছে অসংখ্য মানুষ।
ঈদের আগের দিন রবিবার (২৪ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮০ জনে। আর ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা শনাক্ত করা হয়েছে এক হাজার ৫৩২ জন।
করোনাভাইরাসের কারণে প্রতিবছরের মতো এবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। ফাঁকা পড়ে আছে জাতীয় ঈদগাহ ময়দান।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রবিবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশের জনগণসহ বিশ্ববাসীকে ঈদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শেখ হাসিনা বলেন, এ বছর এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। করোনা নামক এক প্রাণঘাতী ভাইরাস সারাবিশ্বে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। তার ওপর ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তা-বে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এবছর আমরা সব ধরনের গণ-জমায়েতের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছি। কাজেই স্বাভাবিক সময়ের মতো এবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করা সম্ভব হবে না। সবাইকে আমি ঘরে বসেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।