বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পটুয়াখালীর বাউফলে তোরন নির্মাণকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবেক চীপ হুইপ ও পৌর মেয়র গ্রুপের সংঘর্ষে বাউফল উপজেলা শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে । দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়। একজনকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।পরবর্তীতে বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী পুলিশ সুপারের হস্ত:ক্ষেপে উভয়পক্ষকে নিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে গেট পৃথক পৃথক স্থানে করার সিদ্ধান্তের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,আজ দুপুর ১টার দিকে পৌর শহরের জেলা পরিষদের ডাক বাংলোর সামনে বাউফল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জিয়াউল হক জুয়েলের পক্ষে করোনাভাইরাসের সংক্রমনরোধে প্রচারের জন্য একটি তোরণ নির্মাণ করা হচ্ছিল। এসময় সাবেক চীপ হুইপ এমপি আসম ফিরোজ গ্রæপের, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও নাজিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুকের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী এসে বাধা দেয়। খবর পেয়ে মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল ঘটনাস্থলে আসলে ইব্রাহিম ফারুকের সাথে তার তর্কবিতর্ক হয়। এসময় উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা মারমুখি হয়ে পরে। ধাওয়াপাল্টা ধাওয়ায়র এক পর্যায়ে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।ঘন্টাকাল ব্যাপী দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়।
পরবর্তিতে খবর পেয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বাউফল সার্কেলের সিনিয়র পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেনের মধ্যস্থতায় মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল ও ইব্রাহিম ফারুককে নিয়ে ওসির রুমে সমঝোতা বৈঠক চলাকালে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কালাইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির মোল্লার নেতৃত্বে কালাইয়া থেকে ২০-৩০ জন লোক মটর সাইকেলযোগে ডাকবাংলোর সামনে এসে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে তোরণের বাঁশের খুটি ভেঙ্গে ফেলে। এসময় মেয়র গ্রুপ উত্তেজিত হয়ে তাদেরকে ধাওয়া করলে তারা ডাকবাংলোর মধ্যে আশ্রয় নেয়। তখন এমপি গ্রæপের ছাত্রলীগ কর্মী তাপস (২৫), পঙ্কজ (৩৫) আহত হয়।
এ ঘটনার আগে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় একই গ্রæপে নাজিরপুর ইউনিয়নের ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ও ছাত্রলীগ কর্মী শামীম এবং মেয়র গ্রুপের যুবলীগ কর্মী ইব্রাহিম (৩৫), বাউফল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইউসুফ (২৫) আহত হয়। পুলিশ লাঠি চার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনে। আহতদের মধ্যে ছাত্রলীগ কর্মী তাপসকে (২৫) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পঙ্কজকে (৩৫) বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাউফল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জিয়াউল হক জুয়েল বলেন,‘ শহরের পরিবেশ অশান্ত করতেই ইব্রাহিম ফারুকে নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সংবলিত করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে তোরণ নির্মাণকালে বাধা দেয় এবং তোরণের মালামাল ভাংচুর করে।
চীফ হুইপ সমর্থিত পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুক বলেন থানা ডাকবাংলোর সামনে সেতুর মুখে তারা প্রতিবছর শুভেচ্ছা তোরণ নির্মাণ করেন । আর পৌর মেয়রের তোরণ থানার পশ্চিম পাশে করে আসছে । কি কারণে এবারে তোরণ এ পাশে করা হলো তা জিজ্ঞাসা করতেই মেয়র সমর্থিত নেতাকর্মীরা তার কর্মীদের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে ।
সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেন জানান, তোরন নির্মান নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডার পরে আমরা যখন উভয় পক্ষকে নিয়ে থানার মধ্যে সভা করছিলাম ,তখন বাহিরে তারা পুনরায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পরলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে উভয় পক্ষকে সড়িয়ে দেয়। এখন পৌর মেয়র ,উপজেলা চেয়ারম্যান,পৌর আওয়ামীলীগের সভাপিত সহ নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ইউএন ও সাহেব সহ আমরা বসেছি। পারিস্থিতী এখন নিয়ন্ত্রনে রয়েছে ।আহতদের মধ্যে একজনকে বরিশাল মেডিক্যাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।