মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ব্রিটেনে বাড়ির পেছনের বাগানে হাটা-চলা করেই করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ১ লাখ ৭০ হাজার পাউন্ড (প্রায় ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা) তহবিল সংগ্রহ করে ফেলেছেন শতবর্ষী এক বাংলাদেশী।
কিছুদিন আগে সংবাদমাধ্যমে আসা ক্যাপ্টেন টম মুরের অনুরূপ তহবিল সংগ্রহ করার জন্য সেন্ট আলবান্সের দবিরুল ইসলাম চৌধুরী পবিত্র মাহে রমজান মাসে রোজা রেখেই তার বাগানে ১০০ পাক হাঁটার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন। শনিবার ২৩ শে মে তার এই চ্যালেঞ্জ শেষ হবে।
তার তহবিল সংগ্রহের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, দবিরুল চৌধুরী ব্রিটিশ-বাংলাদেশি টেলিভিশন সম্প্রচারক চ্যানেল এস এর রমজান ফ্যামিলি কমিটমেন্ট (আরএফসি) নামে কোভিড-১৯ তহবিল সংগ্রহের এই উদ্যোগে অর্থ সংগ্রহ করছেন।
২৬ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে দবিরুলের পথ-চলা। পূর্ব লন্ডনের বো এলাকার বাসিন্দা দবিরুল ইসলাম চৌধুরী জানুয়ারিতে স্বজনদের নিয়ে ধুমধাম করে শততম জন্মদিন পালন করেছেন। কিন্তু এই বয়সেও গত প্রায় একমাস ধরে রোজা রেখে প্রতিদিন তার বাড়ির পেছনে ৮০ মিটার বাগানে ১০০ পাক হাটছেন। উদ্দেশ্য- বাংলাদেশ ও ব্রিটেন সহ অন্যান্য আরো কিছু দেশে করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত মানুষের জন্য সাহায্য জোগাড় করা। টম মুর নামে শতবর্ষী সাবেক এক ব্রিটিশ সৈনিক সম্প্রতি তার বাড়ির বাগানে হেঁটে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য যেভাবে প্রায় ৪০ কোটি পাউন্ড চাঁদা তুলেছেন তা দেখে উৎসাহিত হয়েছেন দবিরুল চৌধুরী। গত ২৬ দিনে প্রায় নয় হাজার মানুষ তার তহবিলে ১ লাখ ৭০ হাজার পাউন্ড দান করে। সবটুকু অর্থ ব্রিটেন, বাংলাদেশ-সহ অন্যান্য দেশের করোনা-যোদ্ধাদের জন্য দান করতে চান।
১৯২০ সালে অবিভক্ত বাংলাদেশের সিলেটে জন্ম দবিরুলের। ১৯৫৭ সালে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করতে ব্রিটেনে আসা। তার পরে সেখানেই পাকাপাকি বাস। বিদেশে বাংলাদেশিদের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। বিপদে-আপদে মানুষের পাশে থেকেছেন। প্রবাসে থেকেও শেকড়ের টান ভোলেননি কখনও। জানালেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে সাধ্য মতো অর্থ জোগাড় করে দেশে পাঠিয়েছিলেন।
অবসরে পড়াশোনায় নিমগ্ন হয়ে থাকা মানুষটি নিজেও কবি। সুস্থ, সুন্দর একটা পৃথিবীর স্বপ্ন দেখতে থাকা দবিরুল বললেন, ‘এই পরিস্থিতিতে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে কোটি কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্যের মুখে পড়বে। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো দেশগুলি সবচেয়ে বেশি ভুগবে। অনাহারে মরবে মানুষ।’ সূত্র: ইন্ডিপেন্ডেন্ট, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।