মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে চলে গেল ঘূর্ণিঝড় আম্পান। সেই ধ্বংসযজ্ঞ দেখতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ শুক্রবার সকালে পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছেছেন। পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর জগদীপ ধনখড় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্যের বিধ্বস্ত জেলাগুলোর পরিস্থিতি আকাশপথে পর্যবেক্ষণ করছেন তিনি। এর আগে বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আম্পানের ক্ষয়ক্ষতি দেখতে আহ্বান জানিয়েছিলেন মোদিকে। তাতেই সাড়া দিয়ে শুক্রবার সেখানে গেলেন তিনি।
এরপর বসিরহাটে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মোদি। সেখানে ধনখড় এবং মমতাকে সঙ্গে নিয়ে আম্পানের ঘটনায় বিভিন্ন জেলায় ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন করবেন তিনি। বৈঠকের পর ওড়িশায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাও পরিদর্শনে যাবেন মোদি।
আজ শুক্রবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে কলকাতা বিমানবন্দরে নামে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর এবং মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন বিজেপি নেতারাও। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এদিন আকাশপথে রাজারহাট, গোসাবা, মিনাখাঁ, সন্দেশখালি এবং হিঙ্গলগঞ্জ পরিদর্শন করছেন তারা। এরপর বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে করে বসিরহাটের উদ্দেশে রওনা হবেন তারা।
এর আগে বৃহস্পতিবার মমতা বলেছিলেন যে, ১৭৩৭ সালের পর এমন দুর্যোগ আর হয়নি। আম্পানের তাণ্ডবে রাজ্যে ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে কলকাতায় ১৯ জন এবং বিভিন্ন জেলায় ৬১ জন মারা গেছেন। এছাড়া কলকাতা, দুই ২৪ পরগনাসহ রাজ্যের অন্তত ১৩টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৭-৮টি জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং আরও ৪-৫টি জেলা বিপর্যস্ত।
উত্তর ২৪ পরগনায় প্রশাসনিক কর্মকতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর দুপুর ১টার দিকে কলকাতা বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এর পর দুপুর দেড়টার দিকে দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছনোর কথা মোদির। সেখান থেকে ওড়িশার ভুবনেশ্বরের দিকে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে আম্পানে বিধ্বস্ত রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির মোকাবিলায় ইতোমধ্যেই এক হাজার কোটি রুপি বরাদ্দ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। করোনা পরিস্থিতির কারণে এমনিতেই আর্থিক সঙ্কট চলছে রাজ্যে। এরই মধ্যে আম্পানের জেরে ক্ষয়ক্ষতি সামলাতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্য চাইবে মমতা সরকার।
উল্লেখ, কলকাতার দমদম এলাকার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় প্রায় ১৩৩ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যায়। “এলাকার পর এলাকা ধ্বংস হয়ে গেছে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যের জন্য মমতা সহযোগিতা চেয়ে পাঠান কেন্দ্রের কাছেও। প্রধানমন্ত্রী মোদী একাধিক ট্যুইটে বৃহস্পতিবার সকালে জানিয়েছেন, “পশ্চিমবঙ্গের পাশে রয়েছে দেশ। ক্ষতিগ্রস্তদের সথাসাধ্য সাহায্য করা হবে।”
প্রধানমন্ত্রী ট্যুইটে লেখেন, “সাইক্লোন আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত পশ্চিমবঙ্গ দেখেছি। এই কঠিন সময়ে, পশ্চিমবঙ্গের প্রতি সহমর্মিতা রয়েছে পুরো দেশের। রাজ্যের মানুষের দ্রুত পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার শুভ কামনা করি। স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরানোর চেষ্টা চলবে।”
বৃহস্পতিবার সকালেও কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল না, পানি সরবরাহও ছিল না। একাধিক টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে টেলিফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবাও ভেঙে পড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।