রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা
মাদারীপুরের শিবচরের প্রায় ৪ লাখ জনগোষ্ঠীর একমাত্র স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ৫০ শয্যাবিশিষ্ট শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এ হাসপাতালের বহুমুখী সমস্যার মধ্যে বড় সমস্যা হচ্ছে দালাল দৌরাত্ম্য। দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি শিবচরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের নিয়োগ করা দালাল দ্বারা বেষ্ঠিত। অভিযোগ রয়েছে, শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এর চিকিৎসকরা আউটডোরে রোগী দেখে ব্যবস্থাপত্র লিখে রোগীদের হাতে দিয়ে ডাক্তারদের পছন্দের ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে পাঠিয়ে দেন। অথচ, হাসপাতালে রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সব ধরনের যন্ত্রপাতি রয়েছে। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ রয়েছে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাহবুবুর রহমান রাজীবের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে চলা এসব দুর্নীতির কারণে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা দরিদ্র রোগীরা কাক্সিক্ষত সেবা না পাওয়ার পাশাপাশি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে স্বাস্থ্য খাতকেও অধিক গুরুত্ব দিয়েছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠী যাতে ঘরে বসে বিনা পয়সায় উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারে। সে জন্য সরকার দেশের সকল জেলা-উপজেলা হাসপাতালগুলোকে আধুনিকায়ণ করে সেখানে উন্নতমানের যন্ত্রপাতি দ্বারা সুসজ্জিত করেছে। এ থেকে বাদ পড়েনি শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। সেখানে রয়েছে রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সকল ধরনের যন্ত্রপাতি। প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য ইসিজি মেশিন, এক্স-রে মেশিন, আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন যা সম্পূর্ণ নতুন। অথচ শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এর চিকিৎসকরা প্রতিদিন বহির্বিভাগে রোগী দেখে তাদের হাতে স্লিপ ধরিয়ে দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নির্ধারিত দালালের মাধ্যমে ডাক্তারদের পছন্দের ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে পাঠিয়ে দেয়। যার সিংহভাগ শিবচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাহবুবুর রহমান রাজীব পাঠিয়ে থাকেন। অভিযোগ রয়েছে, চিকিৎসকরা শিবচরের বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কাছ থেকে মোটা অংকের কমিশন নিয়ে রোগী পাঠিয়ে থাকেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকার কারণে কেউ তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করার সাহস পায় না। এ ব্যাপারে শিবচর উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এর আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাহবুবুর রহমান রাজীব বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়। শিবচর হাসপাতালে কোন দালাল নেই। কোন চিকিৎসক কোন রোগিকে ক্লিনিক কিংবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যেতে বাধ্য করে না। তবে অনেক সময় রোগিরাই নিজে থেকেই ক্লিনিকে যায়।’ মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. দিলীপ কুমার দাস বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই তবে তদন্ত করে সত্যতা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।